সরিষার তেলে হার্টের অসুখ !! সবই বাজে কথা। হার্টের অসুখ এবং ১ কলুর গল্প । The story of heart disease and 1 Kolu

হার্টের অসুখ
সরিষার তেলে হার্টের অসুখ !!

সরিষার তেল খাবেন না। সরিষার তেলে হার্টের অসুখ হয়। এতে ইউরিক এসিডও বাড়ে। নানান কথা শোনা যায়। আসলে কি তাই ? বিষয় টা একটু খেয়াল করলেই সব ভ্রান্তি শেষ।

তিনটা ন্যাচারাল তেল। নারিকেল, এক্সট্রা ভার্জিন ওলিভ ওয়েল এবং সরিষার তেল। এর মধ্যে নারিকেল এবং ওলিভ ওয়েল সরাসরি মুখে খাওয়া যায়। দিনে ছয় সাত চামচ। সরিষার তেল এভাবে খাওয়া যায় না। সরিষার তেল খেতে হবে সালাদে অথবা কোন রান্নায়। রান্না করলে এর ইউরিক এসিড ভেঙে এনজাইম তৈরি হয়। আর সালাদে তো অল্পই খেতেই হয়। তাই ইউরিক এসিড নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়। নিশ্চিন্তে খান।

জেনে নিন – নারিকেল তেলে পাইলস দূর করার উপায়

হার্টের অসুখ

এই তেলে আছে অমেগা৩, অমেগা৬, অমেগা৯ যা হার্টের জন্য উপকারী। আরও অনেক অনেক পুষ্টিগুন।

আসলেই কি হার্ট এ্যাটাক হয় সরিষার তেলে 

The American journal of clinical nutrition ৮ টি হসপিটালে ৩৫০ জন রোগীর উপর একটি গবেষণা চালায়। যাদের ছিল Ischemic হার্টের অসুখ। এটা প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে।

এইসব হার্ট এ্যাটাকের রোগিদেরকে বিভিন্ন ভাবে সরিষার তেল খাওয়ানো হয়। যথেষ্ট পরিমানে, কয়েক সপ্তাহ ধরে। ফলাফল আসে ম্যাজিকের মত। রোগীদের হার্টের অসুখ প্রায় ৬০ ভাগ কমে যায়। আমরা এটা বুঝতে পারলাম সরিষার তেলে হার্ট এ্যাটাক হয় না। বরং হার্টের জন্য উপকারী।

হার্টের অসুখ

জেনে নিন – নারিকেল তেলে যেভাবে দূর করবেন গুঁড়া কৃমি

সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর না ক্ষতিকর 

এখনো কি দ্বিধা আছে ? সরিষা বীজে চাপ দিলেই তেল বের হয়। কোন প্রসেসিং করতে হয় না। সম্পূর্ণ ন্যাচারাল। এটা আমার আপনার জন্য সহজলভ্য। অতএব ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাজে তেল নয় সরিষার তেল খান ।

হার্টের অসুখ এবং কলুর গল্প

কলু চিনেন ? যাদের বয়স কম তাদের না চেনার কথা। তবে যাদের বয়স ৪০ এর আশেপাশে তারা চিনেন। এখন সরিষার তেল দোকানে কিনতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্রান্ডের। অনলাইনে অর্ডার দিলেও বাসায় পৌঁছে দেয়।                                    কিন্ত আমরা ছোট বেলায় কলু বাড়িতে যেতাম সরিষা নিয়ে। সেখানে  ১৫/১৬ ফিট ব্যাসার্ধের বৃত্তের সেন্টার পয়েন্টে একটি কাঠের ঘানি থাকত। সেখানে ঢেলে দেয়া হত সরিষা। একটি গরুর কাধে দেয়া তুলে দেয়া হত কাঠের জোয়াল। চোখ বাঁধা গরু ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকত। সরিষার তেল চুইয়ে চুইয়ে পড়ত পাতিলে। এখন আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেশিনের লোহার ঘানি দেখতে পান।

কলুদের আয় রোজগার খুব কম ছিল। সারাদিনে হয়তবা ২০ কেজি সরিষা ভাঙাতে পারত। আর্থিক দুর্গতি মেটাতে তারা নিজেরাও সরিষা ভাঙাত। হাটে নিয়ে বিক্রি করত।

ভিডিও দেখুন – সরিষার তেল নিয়ে গবেষণা কি বলে। 

হার্টের অসুখ

একদিন এক কলু হাটে যাবে। বারান্দায় বসে আছে। সামনে আছে টিন ভর্তি সরিষার তেল। অভাবের সংসার বউয়ের সাথে একটু ঝগড়া হয়েছে। এমন সময় তার বউ এসে বলল ” খাবার রেডি, ভাত খেয়ে নাও।” কলু আকাশের দিকে চেয়ে উদাস মনে ভাবতে  লাগল। আজকে তেল নিয়ে হাটে যাব। তেল বিক্রি করব। কোন বাজে খরচ করব না। টাকা জমাব। এরপর আরও একটি ঘানি কিনব। আরও বেশি তেল ভাঙাব। বিক্রি বাড়বে, ব্যাবসা বাড়বে।

এভাবে ধীরে ধীরে অনেক টাকা হবে আমার। তারপর বউ যখন সামনে ভাতের প্লেট দিয়ে বলবে ” ভাত খেয়ে নাও।” আমি লাথি মেরে প্লেট উড়িয়ে দিব। বলব ” হাম নেহি খায়েঙ্গা।” ভেবেই দ্রুতই পা চালিয়ে দিল কলু। সামনে থাকা তেলের টিন বারান্দা থেকে মাটিতে পড়ে গেল। তেল গড়িয়ে উঠোন সয়লাব।

জেনে নিন – এসি রুমে ঘুমালে কেন ভয়ের সপ্ন দেখেন 

সেলিম হোসেন – তাং ০৬/০৫/২০২৪ ইং – ছবি গুলো পেক্সেল থেকে নেয়া।

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *