১ বিলিয়ন সমান কত টাকা
১ মিটার সমান কত ইঞ্চি, ১ পাউন্ড সমান কত টাকা ? এমন প্রশ্ন সাভাবিক। জানতে চাওয়ার আগ্রহ বা প্রয়োজন। কিন্ত আমার জন্ম বরিশালে যা এযুগে ইটালির ভেনিসে জন্মের সমান। আমি ঢাকায় থাকি, যা বর্তমানে মরুভুমিতে বাস করার সমান। এরকম বাক্য দিয়ে তৈরি ভাইরাল পোস্ট প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যায়।
এক কেজি ঘি শুধু নয় এমন অনেক এমন অনেক বাক্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। তবে প্রথম কে কবে উচ্চারন করেছিলেন ? আমরা সেটা জানব ইতিহাস থেকে।
নাদির শাহ
ইরানের রাজ ক্ষমতায়। ১৭৩৮ সালের ৬ ই নভেম্বর তিনি দিল্লি জয়ের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলেন। সাথে ১২৫০০০ হাজার সৈন্য বাহিনী।
দিল্লিতে তখন ক্ষমতায় নাসিরুদ্দিন মোহাম্মাদ শাহ। দিল্লির সম্রাট প্রায় তিন লাখ সৈন্য বাহিনী নিয়ে নাদির শাহ কে থামিয়ে দিলেন। কারনাল শহরের উপকণ্ঠে, পরিখা খনন করে।
১৭৩৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হয়। ২০ হাজার মোঘল সেনা নিহত হয়। বন্দি হয় আরও বহু সংখ্যক সেনা।
নাদির শাহ জিম্মি করেন সম্রাটের এক পুত্র এবং স্ত্রীকে। মোঘল রা পরাজিত হয়।
নাদির শাহ মোঘল সম্রাট কে প্রস্তাব দেন। আমি আপনার দেশ দখল করতে চাই না। আমি এসেছি শুধু আপনাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য।
কিন্ত ইতিমধ্যে আমাদের অনেক খরচাপাতি হয়েছে। আপনি খরচাপাতি দিলেই আমরা চলে যাব।
নাসিরুদ্দিন মোহাম্মাদ শাহ ৪ কোটি রুপি ক্ষতিপুরন দিতে চাইলেন। নাদির শাহ সম্মত হলেন।
উভয়ের রওয়ানা দিলেন দিল্লির পথে। নাদির শাহকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
শহরতলির সালিমার নামক স্থানে প্রমোদ ভবন রয়েছে। আশপাশে বাগান। আপাতত এখানে নাদির শাহকে থাকতে দেয়া হল।
বিশ্রাম শেষে নাদির শাহ চারিদিকে চোখ বুলালেন। চোখে পড়ল বিশাল আকৃতির সবুজ বট গাছ, আমের বাগান। আমের মুকুল থেকে ভেসে আসছিল সুগন্ধ। আম গাছে কোয়েল পাখির বাসা। পেয়ারা গাছ। আরও অনেক সবুজ গাছ গাছালি। সবুজের সমারোহ।
তিনি মনে মনে ভাবলেন। বসন্তে আমাদের খোরাসান এবং মেশেদের বাগানের সাথে এর কত পার্থক্য। সেখানে বাদামী আঙুরলতা দোল খায়। সবুজ পাতা গজায়, দিনরাত গাইতে থাকে বুলবুলি পাখি।
তিনি আপন মনে বলে উঠলেন” ইয়া আল্লাহ ইরানের একদিন হিন্দুস্তানের একশো দিনের সমান।
১০ ই মার্চ শনিবার নাদির শাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। রবিবার শুরু হয় নাদির শাহের ধ্বংসলীলা। নারী শিশুরাও বাদ যায় না। পুরো দিল্লি শহরে লাশ আর লাশ। কয়েক দিনের পচা মাংসের দুর্গন্ধে বাতাস ভারী।
এত রক্ত, হত্যাযজ্ঞ, আগুনে পোড়া বাড়ি ঘর দেখে নাদির শাহ নিজেই শারীরিক, মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে ঘুমাতে পারেন না। এপ্রিলের প্রচণ্ড গরমে নাদির শাহের শরীরে ঘামাচিও দেখা দেয়।
শহরের সেরা হেকিম বৃদ্ধ আলভী খান কে ডাকা হয়। আলভী খান সাহসী এবং মুখের উপর সত্য কথা বলেন।
আলভী খান নাদির শাহের সাস্থ্য পরীক্ষা করেন। বিদ্রুপের সাথে বলেন ” দিল্লি তোমার জন্য উপযুক্ত জায়গা নয়। ” আমিন
জবাবে নাদির শাহ বলেন ” ইস্পাহানে একদিন কাটানো আপনার দেশে সারাজীবন কাটানোর সমান।”
সেলিম হোসেন – ০৫/০৫/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।