চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
আষাঢ়ের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। খণ্ড খণ্ড ছাই রঙ মেঘ দল বেঁধে উড়ে যাচ্ছিল। ঠিক ছুটির পর গারমেন্টের মেয়েরা যেভাবে গল্প করতে করতে হেঁটে যায়। মেঘেদের উড়ে যাওয়া দেখে তেমনি মনে হচ্ছিল। অফিসের জানালায় দৃশ্যটা জাহিদ ইসলাম কে এক ভাললাগায় আচ্ছন্ন করল।
জাহিদ আজকের বিক্রি নিয়ে বেশ আনন্দিত। ফেসবুকে আজকে যে পরিমান টাকা বিজ্ঞাপনে ব্যয় হয়েছে, তার তুলনায় অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে। প্রডাক্ট প্রায় শেষের দিকে। সাপ্লিমেন্টের এল সি করতে আগামীকাল সব কিছু রেডি করতে হবে। ভাবনার মাঝে আওয়াজ করে রুমে ঢুকল বন্ধু বেলাল আহমেদ। হাতে একটি পার্সেল।
কি ব্যাপার পার্সেল কিসের ?
বলছি, তার আগে চাওয়া খাওয়া।
হ্যা, তোর সাথে চা খাব বলে অপেক্ষা করছি। তোকে আজ মাকা পাউডার চাওয়া খাওয়াব। চায়ে এই মাকা পাউডার, সাথে একটু মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে লিবিডো উন্নত হয়। ফলস্বরূপ ইন্টারকোর্স আনন্দময় ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন বল তোর পার্সেলে কি ?
আজীবন স্লিম এবং ফিট থাকার সহজ উপায়

আমার শ্যালিকা বেশ সুন্দরী। তার সুন্দর মুখে কিছুটা মেছতার দাগ পরেছে। বেড়াতে এসেছে আমাদের বাসায়। সে অনলাইন থেকে একটা মেছতা দূর করার উপায়ের ক্রিম অর্ডার করেছিল। অফিসে ডেলিভারি ম্যান থেকে রিসিভ করলাম। এটা নাকি ভালো কাজ করে, অনেক পজিটিভ রিভিউ আছে।
হ্যা, ভালো কাজ করতে পারে। হয়ত এই ক্রিম টা নিয়মিত মাখলে মেছতা চলেও যাবে। কিন্ত মুল সমস্যা টা কোথায় ? কেন মেছতা হয় ? সেটা জানতে হবে। আর সেটা জানতে পারলে সাস্থ্যকর ন্যাচারালি উপায়ে মেছতা দূর করা সম্ভব। জাহিদ বলল
ঠিক আছে, তুই বল মেছতা দূর করার উপায় কি ? কারন মেয়েরা এমনিতেই বেশ চিন্তায় থাকে তাদের ত্বক নিয়ে। ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে ভেবে তারা প্রচুর সময় ব্যয় করে। তারপর শ্যালিকার বয়স কম, সবেমাত্র একটি বাচ্চা। সামনে জীবনের অনেক সময়। চা টা তো খেতে বেশ ভালো ! চায়ে চুমুক দিয়ে বলল জাহিদ।
মুলত আমাদের খাদ্যাভাস আর লাইফস্টাইল মেলাসমা ( মেছতা ) এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের সাথে সম্পর্কিত। কারও ক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের জন্য মুখের ত্বকে বা অন্যান্য জায়গায় দাগ পরে। এই দাগ পরলে আমরা ব্যস্ত হয়ে পরি কিভাবে এই দাগ মুছে ফেলব। একটুও ভাবিনা সমস্যা টা শুধু ত্বকের উপরে নয়, ত্বকের ভিতরেও।
ভাবনা শুধু দাগ মোছা নিয়ে। তাই আমরা বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করি। এতে করে দাগ মুছেও যায়। কিন্ত আবার ফিরে আসে। চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় নিয়ে তোকে বিস্তারিত বলছি।

হাইপারপিগমেন্টেশনের কারণ এবং মেছতা দূর করার উপায়
আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং মেলাসমার মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে হবে। হাইপারপিগমেন্টেশনের আসল কারণ কী তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। মেলাসমা ( মেছতা ) হল ত্বকের গভীরে প্রদাহ ।
গবেষণা অনুসারে , বাহ্যিক ৯ টি কারনে হয়।
১. হরমোন ভারসাম্যহীনতা যাদের আছে তাদের ত্বকে ছোপ ছোপ কালো দাগ বা ছোট ছোট কালো দাগ পরতে পারে।
.২. গর্ভাবস্থা এবং মায়েরা যখন বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান, তখন ত্বকে দাগ পরা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ইনজেকশন, প্যাচ এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মেলাসমা বা হাইপারপিগমেনটেশন দেখা দিতে পারে।
৪. এইচআরটি, এটি মূলত নারীদের মেনোপজ (রজোনিবৃত্তি) পরবর্তী সময়ে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এসময়ে অনেক নাড়ীর ত্বকে মেলাসমা দেখা দেয়।

৫. যাদের রক্তে শর্করার পরিমান বেশি অর্থাৎ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ত্বকে দাগ পরতে পারে।
৬. থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও ত্বকে দাগ পরতে পারে।
৭. সূর্যের আলোর ইউভি রশ্মি থেকেও অনেকের ত্বকে দাগ পরে। এ থেকে রেহাই পেতে অনেকেই সানব্লক ব্যবহার করেন।
৮. রান্না ঘরের অতিরিক্ত তাপ বা বসবাসের জায়গাও যদি বেশি তাপে পূর্ণ থাকে সেক্ষেত্রেও ত্বকে এমন সমস্যা হতে পারে।
৯. কোন কারনে ত্বকে আঘাত পেলেও এমন টা হয়। আবার স্বামী স্ত্রী যখন একান্ত সময় কাটায়। তখন কোন কোন স্বামী বেপরোয়া স্ত্রীর গালে কামড় দেয়। যখন মিলনের গভীরতা বাড়তে থাকে তখন কামড়ের তীব্রতাও বাড়ে। এতে করে ত্বকে দাগ পরতে পারে।
উপরোক্ত কারন গুলোতে ত্বকে মেলাসমা হতে পারে। তবে এসব বাহ্যিক কারন। ত্বকের অন্তর্নিহিত প্রদাহের সাথে সম্পর্কিত নয়। গবেষণা বলে, মেছতার মুল সমস্যা ত্বকের প্রদাহের কারনে। একারনে ত্বকে ক্রিম মাখলে মেলাসমা চলে যায়। কিন্ত বার বার ফিরে আসতে পারে।
মেছতা যাতে আর কোনদিন না হয়, এ জন্য মুল সমস্যা দূর করতে হবে। আর তা হল ‘প্রদাহ’।

সাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেছতা দূর করার উপায়
ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ মেছতাকে ট্রিগার করে। তাই প্রদাহ দূর করতে খাদ্যাভাসের সাথে কিছু বিষয় যুক্ত করতে হবে। কাজটা কঠিন নয়, জানতে হবে ভালোভাবে। নিয়মিত এভাবে চললে মেছতা তো চিরতরে যাবেই, সেই শরীরও সুস্থ থাকবে।
খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি কেবল মেলাসমা থেকে মুক্তি দিবে তাই নয়, ত্বকের সাস্থ্যের অনেক উন্নতি হবে। ত্বকের লালচেভাব বা অন্য সমস্যা থাকলেও চলে যাবে। আরও একটা বড় বেনিফিট হল, বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে ধীর করে দিবে।
জাঙ্ক ফুড, আলট্রা প্রসেসড ফুড, কারখানায় তৈরি খাবার, কৃত্রিম মিষ্টি, স্বাদ বৃদ্ধিকারী, খাবারের রঙ এবং রাসায়নিক সংযোজন মিশ্রিত খাবার আমরা খাই। এসব খাবার আমাদের পাকস্থলিতে গিয়ে ভাঙতে সময় নেয়। জ্বালাতন করে, চাপ সৃষ্টি করে। এই বিষয় গুলোই প্রদাহ। এ কারনে শরীরে ভারসাম্য নষ্ট হয়।
ন্যাচারাল খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় নেই। মহান আল্লাহ আমাদের কে আসল, প্রাকৃতিক, পুষ্টিকর, তাজা খাবার খাওয়ার জন্য তৈরি করেছেন। কিন্ত সময়ের অভাব, অলসতা, লোক দেখানো আধুনিকতায় আমরা বাজে খাবার খাই।
প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার গুলো চিনতে হবে

চলতি পথে, অফিসে বা কাজের ফাঁকে আমাদের ক্ষুধা লাগে। দেখা যায়, কোথাও না কোথাও আলট্রা প্রসেসড ফুড খেতে শুরু করি। এগুলো খাওয়ার পরেই শরীরে জ্বালা শুরু হয়। স্বস্তি পেতে গ্যাসের ট্যাবলেট খাই।
সুন্দর ত্বক পাওয়ার পূর্ব শর্ত ত্বককে প্রদাহ মুক্ত রাখা। এজন্য এমন খাবার খাওয়া দরকার যাতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। হজম ভালো হয়। পুষ্টি গুলো সঠিকভাবে কাজ শুরু করতে পারে।
খুব সহজ একটা সমাধান সাস্থ্যকর খাদ্যাভাস। কিন্তু অনেক মানুষ প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি আসক্ত। এটি স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব ফেলছে, ত্বকের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে চিন্তা নেই।
আসল ন্যাচারাল খাবার খাওয়া মানে কি ? বেলাল জিজ্ঞেস করল
মেছতা দূর করার উপায়ে আসল খাবার হচ্ছে শাকসবজি, গোটা শস্য, মটরশুটি, ডাল, বাদাম, বীজ, মাংস, মাছ, ডিম, ভেষজ, মশলা ইত্যাদি।খাবারের বেশীরভাগ অংশ জুড়ে থাকবে তাজা খাবার। বাসায় নিজে তৈরি করতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
প্রদাহজনক খাবার একদম বাদ দিতে হবে। যেমন জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড, আগে থেকে তৈরি খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পানীয় ইত্যাদি। ব্যাগ, ক্যান, পাত্র, জার, বাক্স বা বোতল থেকে যা কিছু বের হয় তা প্রায় শতভাগ আলট্রা প্রসেসড ফুড।
যদি কোন কারখানায় তৈরি হয়, স্বাদ বাড়াতে বা সংরক্ষণের জন্য, তাতে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক যোগ করা হয়। তাহলে এসব খাবার আমাদের খাওয়া উচিত নয়।
জীবনে সফল হতে ২ টি শিক্ষণীয় গল্প

ইনফ্লামেশন তৈরি করা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
প্রক্রিয়াজাত খাবারই কেবল প্রদাহজনক নয়, এতে পুষ্টির পরিমান থাকে খুবই কম। যদি তোর শ্যালিকার কোক, পেপসি,দোকানের ফলের জুস, এনার্জি ড্রিংক, চিনি যুক্ত চা বা কফির অভ্যাস থাকে, তবে এগুলো অবশ্যই ছাড়তে। এই পানীয় শরীরের কোন উপকারে আসে না।
তাহলে আরও বহু বছর সে সুন্দরী লাস্যময়ী থাকতে পারবে। তোর ভায়রা ভাই, পাগলের মত শ্যালিকার প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। সংসারে সুখ শান্তি বজায় থাকবে।
সাস্থ্যকর পানীয় পান করতে চাইলে ডাবের পানি, ভিনেগার লেবুর শরবত, কোন গ্রিন জুস, বাদামের জুস ইত্যাদি বাসায় তৈরি করে খেতে পারবে।
বিয়ার গ্রিলসের জীবনের অসাধারন উত্থান

এলারজি যুক্ত খাবার
কারও কারও নির্দিষ্ট খাবারে এলারজি আছে। এটা ব্যক্তি ভেদে এক একরকম। এক খাবার হয়ত আমার খুব ভালো লাগে, সহজে হজম হয়। আবার সেই একই খাবারে অন্য একজন স্বস্তি পায় না। হজমে ডিস্টার্ব হয়। তবে সাধারন এলারজি যুক্ত কিছু খাবার আছে যেমন –
ডিম/দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য/সয়াবিন এবং সয়া পণ্য/গমের আটা/মাছ/শেলফিশ/ বাদা, এরকম আর কি!
খাবারের নেশা ছাড়ার উপায়
তুইতো জানিস, আমি নিজেও খাবারের প্রতি বেশ দুর্বল ছিলাম। বিশেষ করে আমার পছন্দের খাবার, মিষ্টির প্রতি। এছারাও সিঙ্গারা, পুরি, বার্গার, চিকেন ফ্রাই এগুলোও প্রচুর খেতাম। এসব খাবার ছেড়ে দেয়া খুব কঠিন ছিল। কিন্তু বাজে খাবার ছেড়েছি। ওজন কমিয়ে এখন দারুন সুস্থ আছি।
কিভাবে ছাড়লি এসব বাজে খাবার ? বেলাল বলল
বাজে খাবার ছাড়তে প্রথমত মনস্থির করতে হবে। নিজেকে বোঝাতে হবে, আমার ত্বক আজীবন সুন্দর, দাগ মুক্ত থাকবে। বাড়তি ওজন কমে যাবে, সুস্থ থাকব। এই সঙ্কল্পের উপর টিকে থাকতে প্রয়োজন কার্যকর উপাদান ‘ আপেল সিডার ভিনেগার ( উইথ মাদার )।
সব সময় ছোট বোতল ভিনেগার হাতের কাছে রাখতে হবে। যখনি বাজে খাবার খেতে ইচ্ছে করবে, ঠিক তখন এক টেবিল চামচ ভিনেগার কাপে ঢালতে হবে। এরপর চায়ের মত চুমুক দিয়ে ধীরে ধীরে খেতে হবে। খাবারের সাথে নিয়মিত প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন – টক দই, সাওয়ার ক্রাউট, কিমচি। এভাবে ২/৩ মাস চললেই বাজে খাবারের নেশা কেটে যাবে।
দাদীর মুখে শোনা গল্প পুরনো দিনের কথা

কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে
খাবারে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বা চিনি রক্তে প্রচুর ইনসুলিন আনতে পারে। হরমোনের ওঠানামা এবং ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। শরীরে ধীরে ধীরে ইনসুলিন আসে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খেলে। যেমন – লাল চালের ভাত, কিনোয়া, ওটস, বাকহুইট, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। ত্বকের দাগ দূর করতে এবং চিরদিন দাগ মুক্ত থাকতে এগুলো উপযুক্ত খাবার।
অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার চিনে রাখুন
১. চিনি এবং সিরাপ (সকল ধরণের) ২. ময়দা এবং আটা ৩. বেকড পণ্য (রুটি, কেক, ক্র্যাকার, ব্যাগেল, মাফিন, কুকিজ ইত্যাদি) ৪.পাস্তা এবং নুডলস ৫.চিপস এবং ক্রিসপস ৬. মিছরি ৭. মিষ্টি ৮. সাদা চালের পিঠা এবং ফুলে ওঠা দানা ৯. কোমল পানীয় ১০. দোকানে পাওয়া ফলের পানীয় ১১. মিষ্টি পানীয় (এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্টি চা, মিষ্টি কফি পানীয় ইত্যাদি)
এই সব খাবারে প্রক্রিয়াজাত চিনি ব্যবহার করা হয়। এ কারনে স্বাদ বেড়ে যায়। বার বার খেতে ইচ্ছে হয়। এগুলো খাওয়া যাবে না।
সমুদ্রের পানির নিচে ৩ হাজার বছরের পুরনো জাহাজ

অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট কিন্ত সাস্থ্যকর
১. ফল (আম, পেঁপে, কলা, আঙ্গুর, আনারস ইত্যাদি)
২. শস্যদানা ( চাল, বাজরা, বাকহুইট, কিনোয়া, কুসকুস, গম ইত্যাদি)
৩ . মটরশুটি/ডাল (ছোলা, মসুর ডাল, কালো মটরশুটি, পিন্টো মটরশুটি ইত্যাদি)
৬ . মূল শাকসবজি (আলু, বিট, গাজর, কুমড়ো, স্কোয়াশ, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি)
৭ . মিষ্টি (মধু, ম্যাপেল সিরাপ)
এসব খাবার সাস্থ্যকর। বাজে খাবার গুলো বাদ হয়েছে। এরপরেও ত্বকে মেছতা আছে। ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আপাতত এসব সাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট কমাতে হবে। খাবারে সাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমান বাড়াতে হবে। যেমন – নারিকেল তেল, অলিভ ওয়েল, ঘি, বাটার, ডিম। পাশাপাশি ভালো প্রোটিন খেতে হবে। যেমন – দেশি গরুর মাংস, দেশি মুরগির মাংস, তৈলাক্ত নদীর মাছ, সমুদ্রের মাছ।
মেলাসমা রাতারাতি দূর হবে না। খ্যাদাভাস পরিবর্তন করলে একমাসের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখা যাবে। কিছুটা উন্নতি হবে। ভালো খাবার চালিয়ে যেতে হবে। ধীরে ধীরে স্থায়ী সুফল মিলবে।
মেছতা দূর করার উপায়ে যারা গর্ভবতী তাদের জন্য নিয়মের কিছুটা পার্থক্য আছে। যে মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তারাও এটা ফলো করবেন। উভয়ের জন্য একই নিয়ম। প্রসেসড ফুড বাদ দিবেন। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবেন। এটা শিশুর জন্য ভালো হবে মেছতা দূর হবে।
সুস্থ থাকতে যে খাবার গুলো কখনো খাবেন না

সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পেতে
অ্যান্টিঅক্সডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নতুন করে তৈরি করে। ত্বকের কোষগুলিকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। ঢাকা শহরে বায়ু দূষণ মারাত্মক। সাথে আছে সূর্যের ইউ ভি রশ্মি, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।
অনেকেই সানব্লক ব্যবহার করেন। যা বাহ্যিক ভাবে ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করে। ত্বককে ভেতর থেকে রক্ষা করতে পারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যে সব খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে সেগুলো পর্যাপ্ত পরিমান খেলে ত্বক ভালো থাকবে।
যেসব খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যেমন – বেরি (ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাস্পবেরি, ডালিম, ড্রাগন ফল, কিউই ইত্যাদি)। মটরশুটি (কিডনি বিন, কালো বিন, পিন্টো বিন, কোকো বিন ইত্যাদি)। শাকসবজি (টমেটো, পেঁয়াজ, আর্টিচোক, ব্রোকলি, লাল বাঁধাকপি, বিট ইত্যাদি)।
সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি এবং ভেষজ (কেল, পালং শাক, চার্ড, আর্টিচোক, ধনেপাতা, থাইম, তুলসী ইত্যাদি)। মশলা (হলুদ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, আদা ইত্যাদি)। বাদাম (পেকান, ব্রাজিল বাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট ইত্যাদি)
কোনও খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি কিনা তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল খাবারের রঙ। রঙ যত গাঢ় হবে (যেমন বুনো ব্লুবেরি, পালং শাক, বা হলুদ), তাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ তত বেশি হবে।
আসলে একজন মানুষ তার ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে এভাবেই। খুবই সাস্থ্যকর উপায়ে।
ঠিক আছে, বুঝতে পারলাম। আজকে তো মেছতা দূর করার উপায়, সিরিয়াস বিষয় নিয়েই কথা বললাম। কোন ইন্টারেস্টিং নিউজ কি আছে ? থাকলে বল। অনেক সময় কথা হয়েছে, উঠতে হবে।
হ্যা দারুন একটা খবর আছে, বলছি।

৪০ কোটি টাকা নিয়ে প্রেমিকা অন্যের সাথে ভেগেছে
কয়েকদিন আগে কানাডার উইনিপেগ শহরে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা। ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককে কে ভালবাসত লরেন্স ক্যাম্পবেল। অ্যান ম্যাককে দেখতে বেশ সুন্দরী। একহারা শারীরিক গঠন। লরেন্স ক্যাম্পবেলের শরীর বেশ মোটাসোটা, যুবক বয়স হলেও ভুঁড়িটা সামনের দিকে বেশ খানিক টা বেড়িয়ে এসেছে।
তারা চুটিয়ে প্রেম করছিলেন। হঠাৎ লরেন্স ক্যাম্পবেল লটারিতে ৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলার জিতেন। ২০২৪ সালে তিনিই বিজয়ী লটারি টিকিটটি কিনেন। লরেন্স ক্যাম্পবেলের বৈধ আইডি ছিল না। লটারি সংস্থা পরামর্শ দেয়, প্রেমিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা গুলো জমা করতে। রাজি হন ক্যাম্পবেল। নিজের প্রেমিকা, প্রিয় মানুষ, অসুবিধা কি।
মেছতা নিয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের রিসার্চ পড়ুন

ক্যাম্পবেল এবং ম্যাককে লটারি জেতার পর একসাথে ওভার সাইজ চেকসহ ভিডিও করেন এবং ছবি তোলেন। ছবি গুলো লটারি সংস্থায় জমা দেয়া হয়। সংস্থা টাকা গুলো ম্যাককের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়। ক্যাম্পবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাহবা পেতে চান। ঘোষণা করেন, টাকা গুলো আমার পক্ষ থেকে প্রেমিকার জন্মদিনের উপহার।
কিন্তু ঘটনার মোড় নেয় কয়েক দিন পরই। হঠাৎ করেই ম্যাককে নিখোঁজ হয়ে যান। ফোন, ম্যাসেজ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- কোথাও তিনি আর সাড়া দেননি। পরে ক্যাম্পবেল জানতে পারেন, ম্যাককে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তার সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন।
রাগে, হতাশায় ক্যাম্পবেল মামলা করেছেন, ম্যাককে আর লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে।
ব্লগ পোস্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করে দিন। সেলিম হোসেন – তাং – ০১/০৭/২০২৫ ইং
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.
Pingback: উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ১২টি সেরা খাবার, সাস্থ্য বিজ্ঞানের নির্দেশনা 12 best foods for glowing skin, health science advice - OVIZAT
Pingback: কোলাজেন কি ন্যাচারাল বিউটি, বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে কোলাজেনের ৪ টি আবশ্যকতা Natural beauty 4 Essentials of Collagen to Prevent Aging - OVIZ
Pingback: আকুপাংচার চিকিৎসা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত - ৭ টি ক্লিনিক্যাল প্রমান। Acupuncture treatment is side effect free - 7 clinical proofs. -