মন ভালো করার উপায় জেনে নিন।
মন কেন খারাপ হয় ? বিভিন্ন কারনে মন খারাপ হতে পারে। অকারনেও অনেকের মন খারাপ হয়। মন খারাপ , বিষণ্ণতা তরুন তরুণীদের মধ্যে বেশি। মন ভালো করার উপায় জেনে নিন।
মন খারাপ হওয়া মানেই জীবন থেকে শান্তি চলে যাওয়া। অনেকের মন এতটাই খারাপ হয় । তাদের জীবন বিষিয়ে ওঠে। তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আমরা জানব এ থেকে পরিত্রানের উপায়।
বিজ্ঞানের চোখ দিয়ে দেখলে মন খারাপের কারন DOSE
সেটা আবার কি ? DOSE হচ্ছে চারটি হরমোন।
চারটি হরমোন কমে যাওয়ার কারনে মন খারাপ হয়।
D – Dopamine
O – Oxytocin
S – Serotonin
E – Endorphin
পড়ুন – স্ট্রেস আপনার কি ক্ষতি করে
বিষন্ন মন ভালো করার উপায় জেনে নিন।
এই চারটি হরমোন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে থাকলে মন ভালো থাকবে। কিভাবে এই হরমোন নিঃসরণ ঘটানো যায়?
Dopamine কেউ প্রশংসিত হলে বা কোন পুরস্কার পেলে শরীরে ডোপামিন নিঃসৃত হয়। প্রোটিন খাবার খেলেও ডোপামিন নিঃসৃত হয়। ডোপামিন নিঃসৃত হলে মনে ভালোলাগার অনুভুতি চলে আসে। প্রশংসা পাবেন পরিবারের, বন্ধুদের অথবা সমাজের এমন কাজ করুন। এটা মন ভালো করার উপায়।
Oxytocin প্রেমের প্রথম পর্যায়ে প্রচুর পরিমান অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। মা যখন তার সন্তানকে দেখেন তখন মায়ের শরীরে অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। বন্ধুরা যখন পরস্পর মিলিত হয় তখন অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। মায়ের সাথে একান্তে কথা বলুন। দূরে থাকলে নিয়মিত ফোন করতে ভুলবেন না।
Serotonin সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায় সেরোটোনিন। এজন্য সূর্যের আলোতে প্রতিদিন সকাল ৯ টা বিকাল ৩ পর্যন্ত সময়ে ৩০-৫০ মিনিট রোদে থাকা দরকার। তাহলে পর্যাপ্ত পরিমান সেরোটোনিন শরীরে নিঃসৃত হবে। সেরোটোনিন মন ভালো করার অন্যতম হরমোন। অতএব প্রতিদিন সূর্যের আলোয় কিছুটা সময় কাটান।
পড়ুন – সরিষার তেলে হার্টের অসুখ !!
মন ভালো করার উপায় জেনে নিন
Endorphin ব্যায়াম করলে বা দৌড়ালে এন্ডরফিন নিঃসৃত হয়। অন্যের কথা বলার সময় হাসি মুখে কথা বললেও এন্ডরফিন নিঃসৃত হয়। কারো সাথে সাক্ষ্যাতে ছালাম দিবেন। কেউ কেমন আছেন জিজ্ঞেস করলে আন্তরিক ভাবে বলবেন ” আলহামদুলিল্লাহ ” এন্ডরফিন নিঃসৃত হবে। বুঝতে পারলেন মন ভালো করার উপায় দৌড়ানো।
এই চারটি হরমোন আমাদের শরীরে অপটিমাম লেভেলে থাকলে আমরা প্রানবন্ত থাকি। অতএব DOSE এ মনোযোগ দিন, জীবন আনন্দে ভরে উঠে।
সেলিম হোসেন – ০৪/০৪/২০২৪ ইং
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.