মদের অর্ডারের চাপে
তেইশ বছর আগে আমেরিকায় একটি ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। নিউইয়র্কের দুটি সুউচ্চ বাণিজ্যিক ভবন যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত। দুটি টাওয়ার ভবনই ছিল ১১০ তলা। আমেরিকান দের গর্ব। চারটি যাত্রীবাহী জেট বিমান ছিনতাই হয়। আঘাত হানে ভবন দুটিতে এবং আমেরিকার অন্য জায়গায়। ভবন দুটিতে নিহত হয় ছয় হাজারের বেশি মানুষ।
এই হামলা ছিল শতাব্দীর অন্যতম সবচেয়ে ভয়াবহ একটি সন্ত্রাসী হামলা। শুধু আমেরিকানদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্ব চমকে গিয়েছিল ঘটনার ভয়াবহতায়। সময় কাল ১১ ই সেপ্টেম্বর ২০০১ সাল। মঙ্গলবার সবেমাত্র অফিস শুরু হয়েছে ঠিক তখন হামলাটি হয়।
ছিনতাইকারীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কাজটি সম্পন্ন করে। পূর্ব আমেরিকার আকাশপথ দিয়ে ওড়া চারটি বিমান একইসাথে ছিনতাই করে। তারপর বিমানগুলি তারা ব্যবহার করে নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আঘাত হানতে। আঘাত টি হয় বিশাল ও নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র হিসাবে। দুটি বিমান বিধ্বস্ত করা হয় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে।
পড়ুন – এক ব্রিলিয়ান্ট চোরের বিস্ময়কর গল্প।
মদের অর্ডারের চাপে ব্যাবসা কোথায় যাবে
প্রথম বিমানটি আঘাত হানে নর্থ টাওয়ারে আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে। দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত করা হয় এর অল্পক্ষণ পর, সকাল ৯টা ৩ মিনিটে।
দুটি ভবনেই আগুন ধরে যায়। ভবন দুটির উপরতলায় মানুষজন আটকা পড়ে যায়। শহরের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে দুটি ভবনই বিশাল ধুলার ঝড় তুলে, ভেঙে মাটিতে গুঁড়িয়ে পড়ে।
তৃতীয় বিমানটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরের পশ্চিম অংশে আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে ছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা বিভাগের বিশাল এই সদর দপ্তর পেন্টাগন ভবন।
এরপর, সকাল ১০টা ৩ মিনিটে চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে। ছিনতাই হওয়া চতুর্থ বিমানের যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।
ধারণা করা হয় ছিনতাইকারীরা চতুর্থ বিমানটি দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনের ওপর আঘাত হানতে চেয়েছিল।
মদের অর্ডারের চাপে ওয়েব সাইট বন্ধ কেন ? বিষয় টি পুরো জানতে ঘটনাটি জানা প্রয়োজন। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে ছিলেন ? তিনি ছিলেন – ওসামা। পুরো নাম ওসামা বিন লাদেন। সৌদি বংশোদ্ভূত, থাকতেন আফগানিস্তানে। তার পরিচালিত সন্ত্রাসী গ্রুপের নাম আল কায়েদা। আমেরিকার দাবি এই আল কায়েদাই হামলা করেছিল টুইন টাওয়ারে।
পড়ুন – জামাই কেন রেগে আগুন শাশুড়ির উপর।
মদের অর্ডারের চাপে নতুন মদ ” ওসামা ”
আল কায়েদার এ নেতার নামে সম্প্রতি বাজারে এসেছে মদ। আর তাতেই বাজিমাত। মদের অর্ডারের চাপে হিমশিম খাচ্ছে সরবরাহকারী কোম্পানি। বৃহস্পতিবার (২৩ মে ২০২৪ সাল ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আল কায়েদার এ শীর্ষ নেতার নামে ইংল্যান্ডের মিশেল ব্রিউয়িং কোম্পানি নতুন মদ বাজারে এনেছে। কোম্পানির আনা এই “ওসামা মদ” বাজারে তুমুল সাড়া ফেলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেছে। এর ফলে মদের অর্ডারের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানির কর্মীরা। এমনকি ক্রমাগত চাপের মুখে কোম্পানির ল্যান্ডফোন সংযোগও খুলে ফেলা হয়েছে।
আরও মজার ব্যাপার জানা গেছে। ব্রিটিশ এ কোম্পানিটি কেবল লাদেনের নামে নয়, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামেও মদ (বিয়ার) বানিয়েছে।
কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার লুক মিশেল বলেন, ” স্বৈরাশাসকদের নামানুসারে এভাবে চটকদার করে বিয়ারের নামকরণ করা হয়েছে।” ব্রিটিশ এ কোম্পানির মালিক লুক ও ক্যাথেরিন মিশেল দম্পতি।
লুক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঘুম থেকে উঠলেই হাজার হাজার অর্ডার পাচ্ছি। ক্যাথেরিন বলেন, অর্ডারের চাপে এলাহি কাণ্ড! গত ৪৮ ঘণ্টায় ফোনটা বিশ্রামেরই সুযোগ পায়নি। ফলাফল মদের অর্ডারের চাপে এখন ওয়েবসাইট টাই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। নামগুলো দেখলে সবাই হাসে।
মদের অর্ডারের চাপে – মদের আড্ডার গল্প
অপহরন ভয়ংকর ঘটনা। কিন্ত অপহরনের এমন কাহিনী আগে শোনেন নাই।
জুলাই মাস, গত কয়েক দিন ধরেই আবহাওয়া বেশ গরম। মদের আড্ডায় নিতিস নিয়মিত যায় সন্ধ্যার পরে। বরাবরের মত আজও নিতিস কোনার টেবিলটাতে গিয়ে বসে। ধীরে ধীরে ওর পান সাথীরা চলে আসে। এরই মাঝে বৃষ্টি শুরু হয়। পান পর্ব চলতে থাকে। নিতিস আকণ্ঠ পান করে। কখন রাত গভীর হয়েছে বুঝতে পারেনি।
বাইরে বেরোতেই একটা হিমেল হাওয়া এসে শরীরে লাগে। মনে হয় পুরো পৃথিবীটাতে কেউ এসি লাগিয়ে দিয়েছে। দেহমন ঠাণ্ডা হয়ে যায়, নেশা আরও চরে যায় নিতিসের। হাঁটতে থাকে বাড়ির দিকে।
সময় গড়াতে মদের অর্ডারের চাপে পরে বারের ওয়েটার
ভিডিও দেখুন – হাতি কেন মাতাল হল।