বেইলি রোডে আগুন – বেইলি রোড কেন বিখ্যাত ?
এখানে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ৪৪ জন। আগুনে পুড়ে, হুড়োহুড়িতে আহত অনেক। সিরিয়ায় বিশ্বের সব সামরিক শক্তি মিলে হামলা করল। ধ্বংস হল শহর নগর। নারী শিশু বয়স্ক সবাই অসহায়ের মত মারা পড়ল। পুতিন যখন চেচনিয়ায় হামলা করল। চেচনিয়ান নারী পুরুষ শিশু সবাই মারা পড়ল অসহায়ের মত।
চায়নাতে যখন একজন উইঘুর শিশুকে কনসেন্ট্রেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন বাবা মা মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকেন। চোখ দুটো পাথর হয়ে যায়। পানি ঝরে না। এখানেও বাবা মা অসহায়।
পড়ুন – এম পি আনোয়ার আজিমের কোলকাতায় নিখোঁজ হওয়ার কাহিনী
বেইলি রোডে আগুন
গাজার ঘটনা আমাদের কাছে একেবারে তরতাজা। কত মানুষ মারা গিয়েছে জানেন ? ২৫-৩০ হাজার। এর বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। এখানে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র গুলো খেলাধুলা করছে। রাশিয়া লাগিয়ে দিয়েছে, আমেরিকা পাল্টা ব্যাবস্থা নিয়েছে। কিন্ত গাজার অধিবাসী ? তারা অসহায়। মরছে কাতারে কাতারে। এমন আরও অনেক উদাহরন আছে।
ঢাকা বেইলি রোডে আগুন এর আগে পুরান ঢাকায় কি হয়েছিল
৩ রা জুন ২০১০ সাল
হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন। নিমতলি পুরান ঢাকা। রাত্রিবেলায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। বাসাটি পাঁচ তলা বিল্ডিং। নিচ তলায় একটি রাসায়নিক দোকানের গুদাম ঘর। রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে হঠাৎ আগুন লেগে যায় গুদামে। রাসায়নিক ড্রাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলি আহমেদ বলেন, আগুন দ্রুত একটি কমিউনিটি সেন্টারসহ আরও তিনটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনীর ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ঢাকা বেইলি রোডে আগুন এর আগে চকবাজারে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল
বাংলাদেশের ঢাকায় চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একটি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। লেগে যায় আগুন। বড়বাজার একটা বিল্ডিং এর সাথে আরেক টা লাগানো, তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়ে এলাকাটি বিদ্যুৎ-সংযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দমকল বাহিনী পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে ৭৮ জন মারা যান। এটা সরকারি হিসাব। কিন্ত বাস্তবে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি।
দিনে কয়বার পাদেন ? পাদ নিয়ে নানান রঙ্গের গল্প।

ঢাকা বেইলি রোডে আগুন আমাদের বোধকে জাগাবে ?
এই আগুন থেকে কি আমাদের রেহাই নেই ? সমাধান কিভাবে ? সেটা নগরবিদরা ভালো বলতে পারবেন। তারা জানাবেন কি ব্যাবস্থা নেয়া যায়। পৃথিবীর সব সভ্য দেশের শহর গুলোতে ফায়ার হাইড্রেন্ট আছে রাস্তার পাশে। আগুন লাগলে সহজেই পানি পৌঁছানো যায়। একারনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কমে যায়।
ঢাকা শহরে ফ্লাই ওভার হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে হয়েছে। অনেক আলোচনা দাবি দাওয়ার পরও এ শহরে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসেনি।
আমাদের করার কিছু নেই। বলার কিছু নেই। আমরা অসহায়।
পড়ুন – কেন পরকীয়ায় আক্রান্ত হয় মানুষ ? বিজ্ঞান কি বলে।
সেলিম হোসেন – ০১/০৩/২০২৪ – ছবি গুলো প্রতীকী।
Pingback: নিখোঁজ এম পি আনার ভারতে - মরদেহ উদ্ধার - 1 Bangladeshi MP Anwar missing in India - OVIZAT
ধন্যবাদ
Pingback: ট্রেনে আগুন - মানুষের মৃত্যু - আগুনের লেলিহান শিখা আমাদের ললাটে মিশে গেছে। Running train fired in Dhaka city - OVIZAT
ধন্যবাদ