ক্রেতাই সঠিক !!
ক্রেতা ভ্যালু কি ? সন্তুষ্টি কি ? ক্রেতা কাকে বলে ? নানান আলোচনা আছে। সবই যৌক্তিক। ব্রান্ডেড শো রুমে লেখা থাকে কাস্টমার ফ্রাস্ট। সাধারন দোকানিরাও বলেন কাস্টমার হল লক্ষ্মী। এর পরও বিপত্তি ঘটে। নানান রসময় কাহিনী তৈরি হয়।
কিছু ক্রেতা যারা ডিমের দোকানে গিয়ে ডিম একটা একটা করে বাছতে থাকেন। মাছের দোকানে গিয়ে প্রচুর দামাদামি করেন। পোশাকের দোকানে গিয়ে এটা দেখান, ওটা দেখান, এ কালার না, ওই কালার দেন। বলতে থাকেন। এইসব মানুষের উপর দোকানিরা মহাবিরক্ত হন।
চল্লিশের দশকের কথা।
তখন ঢাকা শহরের প্রান কেন্দ্র ছিল। ইসলামপুর, পাটুয়াটুলি, সদরঘাট, চকবাজার।
এখন সারা ঢাকা শহরে সব জায়গায়ই ফলের দোকান। তখন শুধুমাত্র ইসলামপুরেই ফল পাওয়া যেত।
সেখানে দোকান করতেন বোম্বাইয়া, পেশোয়ারি এবং ঢাকাইয়ারা।
পড়ুন – শিখ নারী এবং মুসলিম যুবকের প্রেম, বিয়ে এবং ডিভোর্স নিয়ে।
এক ভদ্রলোক গিয়েছেন ফল কিনতে ঢাকাইয়ার দোকানে।
তখন জিনিস পত্রের দাম ছিল কম। কাগজের টাকার পাশাপাশি প্রচুর কয়েনের প্রচলন ছিল।
ভদ্রলোক ফলের দাম পরিশোধ করলেন। দোকানি তাকে ফেরত দিচ্ছেন অনেক গুলো খুচরো কয়েন।
ভদ্রলোক কয়েন নিবেন না, তিনি কাগজের নোট চান। দোকানির অনেক কয়েন জমে গিয়েছে। তিনি কয়েন দিবেন।
ভদ্রলোক কাগজের টাকা ছাড়া নিবেন না।
পড়ুন – সফলতার পথে ফোকাস গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক ঘটনা।
দোকানি মহা বিরক্ত।
তার কর্মচারী ইখতিয়ার কে ডাকলেন।
ঐ হালা ইতাইরা ” বান্দির পোলা তুই উজবুক নিহি”। কিছুই বুঝবার পারছ না। হেতে হাওয়াই জাহাজে চইরা যাইব। কয়েন দিলে ওজন বাইরা যাইব না ? পাইলট যে বেছি ভাড়া চাইব। হেইডা কি তুই তোর বাপের জমিদারি বেইচা দিবি। ছাবরে জলদি কাগজের টাকা দে। বহুত বড় আদমি ছাবে হাওয়াই জাহাজে উড়ে যাবেন।
ক্রেতাকে কিভাবে প্রভাবিত করবেন।
বিরক্তিকর ক্রেতা রসিক দোকানদার লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
সেলিম হোসেন – তাং – ১৫/০২/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।