প্রোবায়োটিক শারীরিক সুস্থতায়।
প্রিবায়োটিক কি?
পেটে থাকা প্রোবায়োটিক, যা জটিল খাদ্য কনা গুলিকে ভেঙে ফেলতে এবং হজম করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই ভালো ব্যাকটেরিয়ার অবস্থান অন্ত্রে অর্থাৎ পেটে সুসংহত করতে দরকার প্রিবায়োটিক। এই প্রিবায়োটিক হল উদ্ভিদের ফাইবার যা ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রিবায়োটিকের আকারে এই পুষ্টিগুলি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলির কার্যকলাপ এবং বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করার জন্য অত্যাবশ্যক। সুতরাং, নিশ্চিত করুন মিলে যেন প্রচুর পরিমানে আঁশ যুক্ত খাবার থাকে।
প্রোবায়োটিক এর ৮ টি কাজ
কোন কোন ক্ষেত্রে এই অণুজীব আমাদের কাজে লাগে।
১. বারবার ক্রনিক আমাশা,
২. পেটের সমস্যা,
৩. রোজ অম্বল,
৪. হজমের সমস্যা
৫. কোলাইটিস,
৬. আইবিএস,
৭. আইবিডি,
৮. মানসিক সুস্থতায়। অবাক ব্যাপার তাই না ! হ্যা, সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, মানুষের একটি নয়, দুটি ব্রেইন। একটি মাথার খুলিতে অন্যটি পেটের ভিতরে। পেট থেকে বেশিরভাগ নির্দেশ মস্তিস্কে যায়। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করি। সাস্থ্য বিজ্ঞানীরা এটা প্রমান করেছেন। অতএব পেট অর্থাৎ অন্ত্রের সাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। তাহলে মস্তিস্ক ভালো নির্দেশ পাবে। মস্তিস্ক ভালো থাকার অর্থই মানসিক অসুস্থতা নেই।
উপকারিতা জানলে, পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়বেন না।
প্রোবায়োটিক এবং এন্টিবায়টিক
এন্টিবায়টিকের ব্যবহারে আমরা সচেতন নই। এটা নিয়ে বারবার কথা বলে এসেছেন চিকিৎসকরা। সতর্ক করেছেন কর্তৃপক্ষ। এবার সেই জায়াগায় অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে প্রোবায়োটিক। এই সাপ্লিমেন্ট নানা সময় মানুষকে সুস্থ করার কাজে লাগছে। আসুন সেই সম্পর্কে জানা যাক।
আমরা আগেই জেনেছি শরীরে কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরকে বাঁচায় নানা অসুখ থেকে। এবার বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে এই ভালো ব্য়াকটেরিয়া ঢোকানো যায়। আমরা এ কাজটাই করতে পারি।
এই সাপ্লিমেন্ট আমাদের শরীরের হিতে কাজ করে। এতে করে অণুজীব পৌঁছে যায় শরীরের ভিতরে। সেখান থেকে অন্ত্রে যায়। এবার কোলোনে ভালো ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়লে কি হয় সেখানে? একটু সহজ করে বললে সেখানে যুদ্ধ হয়। খারাপ ব্যাকটেরিয়া কে ভালো ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। শরীরে অসুখের কারন হচ্ছে খারাপ ব্যাকটেরিয়া। যখন খারাপ জীবাণু মারা যায় তখন শরীর সুস্থ হয়।
ভিটামিন ডি, কে এবং ক্যালসিয়াম। এই তিন ভিটামিন সম্পর্কে প্রত্যকের জানা থাকা জরুরি।
আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে প্রোবায়োটিক শরীরের জন্য উপকারী। তবে এর ব্যবহার নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এভাবেই সমস্যার সহজ সমাধান করা যেতে পারে।
প্রোবায়োটিক এবং এন্টিবায়টিক দুটির কাজ আলাদা। আসলে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে। সেখানে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় প্রোবায়োটিক। এবার লুজ মোশানের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। সেক্ষেত্রে এর প্রয়োজন নেই। তখন ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে দেওয়া হয়ে থাকে প্রোবায়োটিক। তাই মানুষের ধারণা রয়েছে এটা বুঝি বিকল্প । যদিও ব্যাপারটি তা নয়। তাই এই নিয়ে এখনও অনেকটা সচেতনতা প্রয়োজন।