পিনাট বাটার
পুষ্টিকর এবং খুবই সুস্বাদু। যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, তারা খেতে পারেন। বাচ্চাদের আইসক্রিম বা মিষ্টি চকলেট এর পরিবর্তে পিনাট বাটার খেতে দিন।
পিনাট বাটার খাওয়ার উপকারিতা
এই খাবারে রেসভেরাট্রল থাকায় এটি স্নায়ুর অবক্ষয়জনিত রোগ, আলঝেইমার এবং টিউমারের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে পারে। আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস । এরই গুণে রক্তে অক্সিজেনের সঞ্চালন বাড়ে। এর ফলে শক্ত সবল হয় হাড়গোড়। শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে বিশেষ ভুমিকা রাখে। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার থেকেই মিলতে পারে এক গ্রাম ফাইবার? এই ফাইবার বা আঁশই হজম-প্রক্রিয়া সুস্থ-স্বাভাবিক রাখে।
দুধের চেয়ে ৮ গুন বেশী ক্যালসিয়াম থাকে স্পিরুলিনায়।
পিনাট বাটার হজমে সহায়তা করে
এই বাটারে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ থাকে যা আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়। এই খাদ্য আঁশ আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করে। ফলে আমাদের পেট পরিস্কার থাকে। এছাড়া এটি আমাদের পাকস্থলীর সাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের রক্তে শর্করার শোষণ কমিয়ে তার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
পিনাট বাটার বাচ্চাদের কেন খাওয়াবেন
নতুন একটি আমেরিকান গাইড লাইন শিশুদের খাদ্য বিষয়ে। যেখানে বলা হয়েছে বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে সেই শিশুকাল থেকেই বাদাম-ভিত্তিক বিভিন্ন খাবার দেওয়া। এতে করে পরবর্তিতে তার অ্যালার্জি বিষয়ক সমস্যা কম হবে। ডায়েটারি অ্যাডভাইসে প্রস্তাব করা হয়, মাত্র ৪ মাস বয়স থেকেই শিশুকে পিনাট বাটারের মতো খাবার দিতে হবে। যেকোনো ধরনের উচ্চমাত্রার ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবে শিশু।
পালং শাকের রুটি খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকানরা এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে শিশুদের বাদাম জাতীয় খাবার দিতে চান না। কিন্তু আরো আগে থেকেই তাদের বাদাম খাওয়াতে বলা হচ্ছে। একই ডায়েটারি গাইডলাইন ব্রিটেনেও প্রস্তাব করা হচ্ছে।অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অ্যান্টোনি ফ্রিউ জানান, অতীতে শিশুদের খাদ্য বিষয়ে যে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে তা কেবল ধারণার ওপর প্রস্তাব করা হয়।
বর্তমানে ব্রিটিশ এনএইচএস গাইডলাইন্সে বাদাম ছয় মাস পার হওয়ার পর দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালের গবেষণায় প্রধান গবেষক জর্জ দ্যু টইট জানান, আরো আগে থেকে শিশুদের বাদাম পিনাট বাটার খাওয়ানো সম্ভব। এতে বরং তাদের অ্যালার্জির আক্রমণ কম দেখা গেছে।
জেনে নিন – ওজন কমানোর বুলেট কফি রেসিপি
পিনাট বাটার খেলে কি ওজন বাড়ে ?
যারা ওজন কমাতে চান তারা খেতে পারবেন। ওজন বাড়ার ভয় নেই। পরিমান মত খাবেন কোন সমস্যা নেই। খেতে পারবেন যারা অসুস্থ আছেন তারাও। ৫০০০০ হাজার মহিলার উপর ৮ বছর ধরে গবেষণা চালানো হয়। ২০০৯ সালে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায় যারা নিয়মিত এই বাটার খান মোটা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কিন্ত কি পরিমান খাবেন, সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। পাশাপাশি ওজন কমাতে বাজে খাবার গুলো অবশ্যই ত্যাগ করবেন।
বাজারে বিভিন্ন দামে কিনতে পাওয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন জারে বা কৌটায়। বিভিন্ন ব্রান্ডের। তবে এগুলো না খাওয়াই ভালো। এতে প্রিজারভেটিভ মিশানো থাকে। আরও থাকে চিনি। যা একদম অসাস্থ্যকর। ঘরে তৈরি করবেন, সেটাই খাবেন।
এটা তৈরি করা খুবই সহজ। জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন।
জেনে নিন – সহজে ওজন কমানোর প্রথম ধাপ
উপকরণ
ভাজা চিনাবাদাম ২ কাপ
বাটার বা ঘি ৩ টেবিল চামচ
পিঙ্ক সল্ট আধা চা চামচ
অসুস্থতা বা ওজন কমানোর ইস্যু না থাকলে মধু মিশিয়ে নিন। মিষ্টতা বাড়বে, আরও মজাদার হবে।
প্রস্তুত প্রণালী
বাদামের লাল আবরন ছাড়িয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর ব্লেন্ডারে পস চেপে চেপে বাদাম মিহি গুঁড়া করে নিতে হবে। গুড়ো বাদামের সাথে বাটার মিশিয়ে ব্লিনড করুন। খুব ভালো ভাবে যেনো মিশে যায়। একেবারে মিহি এবং নরম করুন। তৈরি হল পিনাট বাটার।
পরিস্কার কন্টেইনারে ভরে ফ্রিজে রাখুন। একমাস রেখে খেতে পারবেন। এই সাস্থ্যকর খাবার। রেসিপিটি কেমন লাগল জানাবেন।
নষ্ট পিনাট বাটারের লক্ষণ
পিনাট বাটার খুব বেশিদিন ভালো থাকে না। এ কারনেই খাওয়ার আগে ভালো করে খেয়াল করবেন। তাজা পিনাট বাটারের একটি মনোরম এবং সমৃদ্ধ বাদামের গন্ধ থাকে। আপনার চিনাবাদাম মাখন নিম্নলিখিত পাঁচটি লক্ষণ যদি থাকে, তাহলে বুঝবেন এটি খাওয়ার অনুপযোগী।
জেনে নিন – ঝটপট হেলদি খাবার তৈরির উপায়
১। যদি নরম মোলায়েম ভাব টা না থাকে, শক্ত হয়ে যায়।
২। চিনাবাদাম মাখন থেকে তেল বেরিয়ে আলাদা হয়ে যেতে পারে। এমন হলে এটা খাবেন না।
৩। স্বাভাবিক হালকা কষা থেকে রঙ গাঢ় বাদামী হয়ে যায়।
৪। মনোরম সুঘ্রান উধাও হয়ে যায়।
৫। প্রাকৃতিক বাদামের স্বাদের পরিবর্তে যখন টক স্বাদ চলে আসে। খারাপ পিনাট বাটার খাওয়া এড়াতে এই লক্ষণগুলি অবশ্যই আমলে নিবেন। ভুলবশত সেবন করলে, নষ্ট হয়ে যাওয়া পিনাট বাটার ফুড পয়জনিং হতে পারে।
সেলিম হোসেন – তাং ১৯/০৫/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী
Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.