দৌড় প্রতিযোগিতা রাষ্ট্রদূতদের। জিতবে কে ১. রাশিয়া ২. আমেরিকা। Ambassadors race. Who will win, 1.Russia 2. America?

প্রতিযোগিতা
দৌড় প্রতিযোগিতা রাষ্ট্রদূতদের

দৌড় প্রতিযোগিতা এবং নিয়মিত দৌড়ানো দুটোরই উপকারিতা আছে। আর দৌড় টা যদি হয় রাষ্ট্রদুতদের তাহলে কি ঘটে। আমরা সেটা জানব। দৌড়ের উপকারিতা কি ? কিভাবে দৌড়াতে হয়। দৌড়ানোর পূর্বে ওয়ার্ম আপ করতে হয়। এগুলো বিষয়গুলো জেনে নিই। দৌড়াবেন হার্ট রেট এরোবিক জোনে রেখে। এরোবিক জোন বের করতে হার্ট রেট ১৮০ থেকে আপনার বয়স কে বাদ দিবেন।   

যেমন ঃ ১৮০- ৪০ ( আপনার বয়স )। আপনার এরোবিক জোন ১৪০

প্রতিযোগিতা

শীত শুরু হয়েছে, তাই দৌড়ালে এখন সহজে ঘাম বের হয় না। ঘাম টা মুখ্য বিষয় নয়। মুল বিষয় হল শারীরিক এক্টিভিটি। তাই আসুন নিয়মিত দৌড়াই, ভালো থাকি।

পড়ুন –  ১৯শে ডিসেম্বর ২০১৬, তুরস্কের আঙ্কারায় রুশ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলফকে গুলি করে মারার পর আততায়ী মেভলুৎ মার্ট অলতিনাস চিৎকার করে কিছু বলছে।

প্রতিযোগিতা

দৌড় নিয়ে একটি গল্প শুনুন

এক সন্ধ্যায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা চা চক্রে খোশ গল্পে মত্ত আছেন। হঠাৎ আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বললেন। আসুন আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করি। শীতের সন্ধ্যা সবাই বেশ আরামে বসে আছেন।

চা, কফি, বিফ স্টেক, সালাদ চলছে। কেউ সাড়া দিলেন না। রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত উঠে দাঁড়ালেন। চ্যালেঞ্জ নিলেন ” বললেন চলেন দৌড়াই”। দুজনে দৌড় শুরু করলেন। দৌড়ে আমেরিকান  হারিয়ে দিলেন রাশিয়ান  কে।

পরদিন নিউইয়র্ক টাইমস নিউজ ছাপল, গতকাল বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক দেড় মধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমেরিকান হাইকমিশনার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। 

দৌড় প্রতিযোগিতা ছবি

প্রতিযোগিতা

পড়ুন – দৌড়ে মন ভালো হয়, কেন জেনে নিন। 

রাশিয়ান নিউজ পেপার দ্যা মস্কো টাইমস ছাপল ” বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক দেড় মধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ান হাইকমিশনার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। আমেরিকান রাষ্ট্রদূত একদম শেষের জনের সামনে থেকে দৌড় শেষ করেন। আমেরিকা রাশিয়ার আরও গল্প পড়তে থাকুন। 

প্রতিযোগিতা আমেরিকা রাশিয়া 

তখন রাশিয়ার ক্ষমতায় কমিউনিস্ট পার্টি। নির্বাহী চেয়ারে আরোহণ করে আছেন স্টালিন। একনায়ক তন্ত্র চলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ। এদিকে আমেরিকাতে ক্ষমতায় আছেন আইজেন হাওয়ার। গণতান্ত্রিক দেশ, জনগন বাক স্বাধীনতা ভোগ করছে। 

তো এমন সময় এক রাশিয়ান পত্রিকার সম্পাদক খুবই বিরক্ত হলেন। তিনি লিখলেন সোভিয়েত নেতারা সব বদ্ধ পাগল। স্টালিনের নির্দেশে কেজিবির গোয়েন্দারা সম্পাদককে ধরে নিয়ে। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দ্রুততম সময়ে। আমেরিকায় বেড়াতে গিয়ে এক সোভিয়েত নাগরিক তার বন্ধুকে এই ঘটনাটি বলছিলেন।

বন্ধুটি তাজ্জব বনে গেলেন। এতো ভয়ঙ্কর ব্যাপার ! এত তুচ্ছ কারনে মৃত্যুদণ্ড ! সোভিয়েত দেশের মানুষটি উত্তেজিত হয়ে বললেন, ” তুচ্ছ কারন বলছেন এটাকে ? ” জানেন ওই সম্পাদক তো আসলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন। স্টেট তথ্য ফাঁসের এই অদ্ভুত ব্যাখ্যা শুনে মার্কিন বন্ধু গভীর দুঃখের সাথে মাথা নেড়ে বললেন ” যাই বলুন, আমাদের দেশে সকলেরই সব কথা বলার অধিকার আছে। নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয় নি আমেরিকায়। ইচ্ছে হলেই আমি হোয়াইট হাউসের সামনে দাড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি, আইজেন হাওয়ারের পদত্যাগ চাই, আইজেন হাওয়ার নিপাত যাক। “

সোভিয়েত নাগরিক অবাক হয়ে বললেন ” এতে গর্ব করার কি আছে ? আমিও তো যখন তখন মস্কোর রেড স্কয়ারে দাঁড়িয়ে বলতে পারি ” আইজেন হাওয়ার নিপাত যাক”। 

প্রতিযোগিতা 

কেন গঠিত হয়েছিল বিশ্ব সেরা গোয়েন্দা সংস্থা গুলো। 

প্রতিযোগিতায় চায়না নেতা  

একজন আমেরিকান সাংবাদিক চেষ্টা করছিলেন সাক্ষ্যাত পেতে, চায়না নেতা মাও সেতুং এর। একদিন নেতা রাজি হলেন, সুযোগ পেলেন সাংবাদিক। তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিকিতা ক্রুশ্চেভ, বয়স ৭০ এর কমবেশি। সবেমাত্র আমেরিকার কম বয়সী প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬৩ সালে আততায়ির গুলিতে মারা গিয়েছেন। কেনেডির স্ত্রী তখন যথেষ্ট ইয়াং।  ১৯৬৮ সালের অক্টোবরে, অ্যারিস্টটল ওনাসিস নামে একজন গ্রীক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। 

আমেরিকা রাশিয়ার বৈরিতা তখন ব্যাপক। সাংবাদিক মাও সেতুং কে প্রশ্ন করলেন, ধরুন জন এফ কেনেডি না মরে যদি ক্রুশ্চেভ মারা যেতেন, তাহলে কি হত ? মাও সেতুং একটু খানি ভাবলেন। এরপর উত্তর দিলেন ” এক্ষেত্রে অ্যারিস্টটল ওনাসিস ক্রুশ্চেভ এর বউকে বিয়ে করতে রাজি হতেন বলে আমার মনে হয় না।” 

প্রতিযোগিতা 

প্রতিযোগিতা কারখানায় 

কমিউনিস্ট তখন সোভিয়েত রাশিয়ায়। আমেরিকায় গেছে সোভিয়েত শ্রমিকদের একদল প্রতিনিধি। উদ্দেশ্য মোটরগাড়ি কারখানা পরিদর্শন করা, সেখানকার কর্মপদ্ধতির হাল হকিকত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। মার্কিন গাইড কে প্রশ্ন করলেন এক শ্রমিক। 

এই কারখানার মালিক কে ? ফোর্ড, গাইড বললেন। আর এই কারখানার সামনে অতগুলো দামী পার্ক করা গাড়ী গুলো কার ? কারখানার শ্রমিকদের, গাইড বললেন। এবার আমেরিকার শ্রমিক প্রতিনিধি দল ফিরতে সফরে সোভিয়েত রাশিয়ায় গিয়েছে কারখানা পরিদর্শনে। রুশ গাইড কে আমেরিকান শ্রমিক প্রশ্ন করলেন ” এই কারখানার মালিক কে ? কারখানার শ্রমিকরা, রুশ গাইড বললেন। আর কারখানার সামনে দাড় করানো দামী গাড়িটা কার ? কারখানার ডিরেক্টরের, রুশ গাইড বললেন।  

সেলিম হোসেন – ১২/১২/২০২৩ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *