গ্রিন টি উপকারিতা কি ? কিভাবে তৈরি হয়। প্রতিদিন ৩/৪ কাপ খেতে পারেন। You can have 3/4 cup of green tea daily

গ্রিন টি
গ্রিন টি কেন গ্রিন ?

একটু ভিন্ন পদ্ধিতে গ্রিন টি উৎপাদিত হয়। খেয়াল রাখা হয় যেন চায়ের সবটুকু রাসায়নিক উপাদান অক্ষুন্ন থাকে। বাগান থেকে তোলা হয় তরতাজা দুটি পাতা এবং একটি কুঁড়ি। ফুটন্ত পানিতে বাস্পায়িত করা হয়। নন ফারমেনটেড অবস্থায় অর্থডক্স পদ্ধিতিতে গ্রিন টি তৈরি হয়।

যেহেতু সতেজ পাতাকে তাৎক্ষনিক বাস্পায়িত করা হয়। এ কারনে পলিফেনল উৎসেচন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে চায়ের সুপ্ত পলিফ্যালন কোষ ভেঙে বের হতে পারে না। রুপান্তরিত হয় না থিয়াফ্লোবিন ও থিয়ারুবিনে। এতে চায়ের টকটকে লাল রঙ সৃষ্টি করার ক্ষমতা চিরতরে হারিয়ে যায়। উৎপাদিত চায়ের রঙ হয় হাল্কা সবুজ।

পড়ুন – কিভাবে সহজে ওজন কমাবেন এবং সুস্থ থাকবেন। 

গ্রিন টি

সব চেয়ে সবুজ চা পান করা হয় জাপানে। এ কারনে সবুজ চায়ের দেশ বলা হয়। জাপানিদের অভিমত, সবুজ চা নিয়মিত পান করলে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে যায়। এমন কি ক্যান্সার প্রতিরোধে কালো চা, ওলাং চা, জেসমিন চায়ের চেয়ে সবুজ চা বেশি উপকারী।

গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা

এতে আছে পলিফ্যানল, ক্যাফিন, পটাসিয়াম। পটাসিয়াম রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। রক্ত চাপ সাভাবিক থাকে। অলসতা দূর করে। ক্লান্তি, অবসাদ, নিস্তেজতা দূর করতে পারে এক কাপ সবুজ চা। কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে পটাসিয়াম।

সদ্য বাগান থেকে তুলে আনা কুঁড়িতে ক্যাফিন থাকে ৪.৭ শতাংশ। প্রথম পাতায় ৪.২ শতাংশ, দ্বিতীয় পাতায় ৩.৫ শতাংশ এবং তৃতীয় পাতায় ২.৯ শতাংশ। ক্যফিনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সচল রাখতে। হৃদপিণ্ড উদ্দিপ্ত রাখা এবং রক্ত সঞ্চালন গতিশীল রাখতেও ক্যাফিনের ভুমিকা রয়েছে।

আমরা জেনেছি জাপানিরা যথেষ্ট পরিমানে সবুজ চা পান করে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়। জাপানের সিজুকা এবং কেগোসিমা অঞ্চলে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা কম। জাপানের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায়। জাপানের সবচেয়ে নামী ব্রান্ডের সবুজ চা হচ্ছে ” ওই চা ( oi ocha ) ।

গ্রিন টি

কোন কিছুই অতিরিক্ত গ্রহন করা ঠিক নয়। এই চা অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিন ৩/৪ কাপ খেতে পারেন।

ভিডিও দেখুন – ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির সবুজ চা খাচ্ছেন। 

গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম।

খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজ চা পান করবেন না। সব খাবারেই কমবেশি প্রোটিন থাকে। খাবার হজমের আগেই সবুজ চা পান করলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

গরম অবস্থায় গ্রিন টি খাবেন না। চা তৈরির দশ মিনিট পর থেকে ধীরে ধীরে পান করুন। সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। যদি মধু মেশান। চা তৈরির দশ মিনিট পর মধু মেশাতে পারেন। এতে মধুর গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকবে।

ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে, চা পানের আধা ঘণ্টা পরে খান। সবসময় ন্যাচারাল গ্রিন টি খাবেন। ফ্লেভারড গ্রিন টি কখনো খাবেন না। এই চা তৈরিতে গুঁড়া দুধ, চিনি বা অন্য কোনো মসলা, লেবু কিছুই মেশাবেন না।

গ্রিন টি

তরতাজা এই ভেষজের নির্যাস প্রতিদিন পান করুন। দেহমন কে প্রশান্তিতে রাখুন। অন্যদের কে বলুন আপনার হেলদি লাইফ স্টাইলের কথা।

পড়ুন – গ্রিন নিয়ে আরও জানতে। National library of medicine.

সেলিম হোসেন – ১২/০৭/২০২৪ ইং

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *