খাবারে ভিটামিন – আবিস্কার করল কে ? ভিটামিনের অভাব বুঝবেন ৭ লক্ষন দেখে। Vitamin deficiency can be understood by looking at 7 symptoms

ভিটামিন
ভিটামিন আবিস্কার 

আবিস্কার করল কে ? এখন সাস্থ্য সচেতন প্রতিটি মানুষই আমরা জানি  আমাদের চোখের জন্য , রক্তের শর্করা ভেঙে এনজাইম উতপাদনে , শরীরের কোষের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং বিপাক ক্রিয়ায় প্রয়োজন ভিটামিন। ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কোলাজেন উৎপন্ন করে, হার সুস্থ রাখে। 

আমাদের শরীরকে টিকিয়ে রাখতে, সুস্থ রাখতে এই খাদ্য কনার রয়েছে নানা কাজ। এই উপাদান খাদ্যের অতি ক্ষুদ্রতম কনা , যা খাদ্যে খুবই অল্প পরিমানে থাকে। সাধারণ মানুষ জানেন না। অনেক চিকিৎসকও জানেন না। এমন কি অনেক বিজ্ঞানিও জানেন না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যত কল্যাণকর আবিস্কার।  যার সুফল ভোগ করছে মানুষ। এর বেশিরভাগ এসেছে তিনটি ইন্সটিটিউট থেকে। ১. লন্ডনের লিস্টার ইন্সটিটিউট ২. প্যারিসের পাস্তুর ইন্সটিটিউট এবং ৩. আমেরিকার রকফেলার ইন্সটিটিউট।  

পড়ুন – ওজন কমানো সহজ, সুস্থ থাকা আরও সহজ।

ভিটামিন  

ভিটামিন এর অভাব কিভাবে বুঝবেন 

শরীর তার স্বাভাবিক কার্যক্রম হারায়, যদি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। শুরু হয় নানা রকম সমস্যা। ত্বক মলিন হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া, স্নায়ুতে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা কিংবা দুর্বলতা, অবসাদ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি এমনই কিছু শারীরিক সমস্যার উদাহরণ। সকল ভিটামিনের অভাবেই শরীর বিশেষ কিছু ইঙ্গিত দেয়, তা হতে পারে শারীরিক কিংবা মানসিক।

বিভিন্ন রকম হেলথ জার্নালে প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তৈরি করলাম ভিটামিনের অভাবের ৭ টি লক্ষন। 

১. শীত কালে কি ঠোঁট শুকিয়ে যায় বা ফেটে যায়, ভয় নেই এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে শরীরের যদি ভিটামিন বি টুয়েলভ’য়ের অভাব হলে সব ঋতুতেই এই সমস্যায় ভুগতে হবে। হাঁস-মুরগির মাংস খাওয়া বাড়ালে ভিটামিন বি টুয়েলভ’য়ের অভাব কমতে পারে। অন্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।

২. বয়স বাড়লে চুল পাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্ত যদি অল্প বয়সে চুল পেকে যায় ? তাহলে শরীরে কপারের অভাবজনিত কারনে এমন টা হতে পারে। এজন্য মাশরুম, তিলের বীজ, কাজুবাদাম ইত্যাদি কপারযুক্ত খাবার খেতে পারেন। বাদাম খুবই পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত সবরকম বাদাম খাবেন। তাহলে বহু ধরনের ভিটামিনের অভাব পুরন করতে পারবেন। 

সন্তান কেন কথা শুনেনা ? সমস্যা বাবা মায়ের, জেনে নিন কোথায় সমস্যা। 

ভিটামিন

৩. খুশকি একটি দারুন যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। অনেকের খুশকির কারনে মাথার ত্বক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলে খুশকি হওয়ার মানে হল শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব রয়েছে। ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত তিসির দানা, আখরোট, চিয়া ইত্যাদি খেতে পারেন। ডিমের কুসুমে পাবেন অমেগা৩। নিয়মিত ডিম খাবেন। 

৪. কারও কারও চুল ঝলমলে, চিকচিক করে। আবার কারও চুল লালচে, ফ্যাকাসে এবং খুবই দুর্বল। চুলে মলিন ভাব দেখা দিলে ধরে নিতে পারেন ভিতামিন বি’র অভাব রয়েছে। চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে খাদ্যাভ্যাসে ডিম, হাঁস-মুরগি, গরু-খাসির মাংস ইত্যাদি যোগ করবেন, আশাকরি সুফল পাবেন। 

৫. আয়নার সামনে দাঁড়ান। ত্বক দেখতে কেমন লাগছে ? শুষ্ক, মলিন ? ভিটামিন ই’র অভাবে ত্বক মলিন হয়ে যেতে পারে। আবার ভিটামিন এ অভাবেও এমন টা হতে পারে। শুষ্ক ত্বকে প্রদাহ হতে পারে। দীর্ঘদিন ত্বক এমন থাকলে ত্বকে একজিমা হতে পারে। এক্ষেত্রে গাজর, কলা, মিষ্টি কুমড়া, কাঠবাদাম, পালংশাক, উদ্ভিজ্জ তেল ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি ‘এ’র অভাব মেটাতে পারেন।

মারপিটের মুভি দেখতে অভ্যাস্ত হয়ে পড়েছেন ? তাহলে কি করবেন।    

ভিটামিন

৬. শরীরে ভিটামিন সির অভাব হলে দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। এই খাদ্য উপাদানের অভাব হলে দাঁতের গোড়ায় ক্যালসিয়াম জমায় ও মাড়িকে দুর্বল করে। এর অভাবে চুলের গোড়াকে আলগা করে ও চুল পাতলা করে তোলে। কোনো অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন চুল উঠে এই খাদ্য উপাদানের অভাবে।

এর অভাবে ত্বকের বাইরের স্তর (এপিডার্মিস) পাতলা ও ফ্যাকাশে হতে থাকে। এই খাদ্য উপাদান পর্যাপ্ত পরিমানে না থাকলে লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হতে পারে না । শরীর কোনো জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। সহজেই ঠাণ্ডা সর্দি লাগে। সামান্য কারনে ত্বক কেটে গেলে বুঝতে হবে শরীরে পুষ্টি ‘সি’র অভাব রয়েছে। প্রতিদিনের কিছু খাবার রয়েছে, যা শরীরের কোষে কোষে ভিটামিন সি পৌঁছে দেয়। লেবু, আমলকী, পেঁপে, টমেটো, ক্যাপসিকাম, পেয়ারা ও ব্রকোলি ভিটামিন সির ভালো উৎস। 

৭. যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়ার পরও কিছু মানুষ সবসময় অবসাদগ্রস্ত থাকেন, যার কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি’র অভাব। শীতকালে এই সমস্যা বেশি চোখে পড়ে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট সকাল ৯ – বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রোদে থাকবেন। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি ‘ ডি ‘ পাবে। 

হু হু করে বাড়ছে কিডনি রোগী। কারন কি ? পরিত্রাণের উপায় কি ? 

ভিটামিন

ভিটামিন আবিস্কারক ক্যাসিমির ফাঙ্ক

১৮৮৪ সালে পোল্যান্ডের ওয়ারসাও শহরে জন্ম গ্রহন করেন। মা গুস্তাওয়া জাইসান, বাবা জ্যাকুইস ফাঙ্ক। পড়াশুনা করেন, সুইটজারল্যান্ড, জারমানি পরবর্তীতে ইংল্যান্ডে। ১৯১২ সালে খাবারে ভিটামিন আছে এ মর্মে তার গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান খুজে পায় আলোর পথের দিশা।

ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন তাকে ফেলো শিপ প্রদান করেন। এরপর ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আমেরিকা বিভিন্ন জায়গায় তার কর্মের সাক্ষর রাখেন। ২০ নভেম্বর, ১৯৭৬ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একজন আমেরিকান হিসেবে তিনি মৃত্যু বরন করেন।

যখন ভিটামিন এবং সাপ্লিমেনট নিবেন। 

ভিটামিন

সেলিম হোসেন – ১৭/০৬/২০২৩ ইং 

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *