ইউনেস্কো – ইঁদুর এবং বিড়াল কাহিনী। ইউনেস্কো সদর দপ্তর কোথায়। UNESCO little bit funny story

ইউনেস্কো
ইউনেস্কো সদর দপ্তর কোথায় ? 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির গেস্টাপো বাহিনীর সদর দফতর হোটেল ম্যাজিসটিকে হয় ইউনেস্কোর প্রধান অফিস। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। এখানে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আমরা সেটা জানব। বর্তমানে এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসের প্লেস ডি ফন্টেনয় এ অবস্থিত।

ইউনেস্কো কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?   

১৬ ই নভেম্বর ১৯৪৫ সাল। 
লন্ডন সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয় ইউনেস্কো গঠন করার। ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।  

অবাক হবেন জেনে – মলদোভা প্রেসিডেন্ট এর আচরনে 

ইউনেস্কো

কি ছিল সেই অদ্ভুত ঘটনা। হোটেল ম্যাজিসটিকের আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নগরীর সুয়ারেজে যুক্ত ছিল। সুয়ারেজ থেকে টানেল ধরে বিশাল সাইজের ইঁদুর ঢুকে পড়ত ইউনেস্কোর খাদ্য গুদামে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেটেরিয়াতে। ইঁদুর দমনে প্রহরীদের দেয়া হল ফ্লাশ লাইট, পিস্তল।  

এতে ভালো কাজ হলোনা। ইঁদুর কামড়ে দিল প্রহরীদের। আহত প্রহরীরা ভীত হয়ে পড়লেন। ইঁদুর দমনে ডাকা হল কর্মকর্তা লুথার ইভান্স কে। তিনি বিড়াল পালার পরামর্শ দিলেন। কয়েক টি বিড়াল ছাড়া হল খাদ্য গুদামে। বিড়াল মহা আনন্দে ইঁদুর খাওয়া শুরু করল। ইঁদুরের পুষ্টিতে নাদুস নুদুস বিড়াল গুলো বংশ বিস্তার করতে থাকল। 

পড়ুন – সাপের কামড় যখন ভাইরাল নিউজ  

ইউনেস্কো

এখন আর ইঁদুর নেই । ইঁদুর না থাকায় বিড়াল গুলো বেপরোয়া হয়ে উঠল। খাদ্য গুদামের ক্ষতি হতে থাকল আগের চেয়ে বেশি পরিমানে। কি করা যায় ? আবার ডাকা হল লুথার ইভান্স কে। বিড়াল ধরায় নিয়োজিত লোকদের ডাকলেন তিনি। বিড়াল ধরা লোকেরা আশিটির বেশি বিড়াল বস্তায় ভরল । 

বস্তা ভর্তি বিড়াল গুলো ট্রাকে তোলা হল। লোকদের নির্দেশ দেয়া হল দূরবর্তী নদীর পানিতে ফেলে দিতে। যেন পানিতে ডুবে বিড়াল গুলো মারা যায়। নদীর পানিতে ফেলতে গিয়ে লোকদের মায়া হল। এতগুলো বিড়াল হত্যা !! পানিতে ফেললেন না। তারা আরও দূরে গিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিলেন ।    

ফিরে এসে লোকেরা জানালেন মিশন সফল। বিল নিলেন, চলে গেলেন।

কয়েক দিন পর একে একে সব গুলো বিড়াল ফিরে এলো হোটেল ম্যাজিসটিকে। 

জেনে নিন – ভুটান অরগানিক খাবারের দেশ 

ইউনেস্কো

ইউনেস্কো এর সদস্য সংখ্যা

 বর্তমানে ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য এবং ১২টি সহযোগী সদস্য রয়েছে। 

সেলিম হোসেন – তাং – ১৭/০৫/২০২৪ ইং – ছবি গুলো পেক্সেল থেকে নেয়া। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *