আপনি কি ফিট ডায়াবেটিস থাকলে
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, ঔষধ চলছে নিয়মিত। তাহলে আমি ফিট ? না ফিট নন, কারন অদূরভবিষ্যতে যে সমস্যা গুলো দেখা দিবে। এগুলো দৈনন্দিন সমস্যা তো করবেই, পাশাপাশি ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগ। স্নায়ুর ক্ষতি (নিউরোপ্যাথি) সংবেদনশীলতা নষ্ট করে দিবে। নিউরোপ্যাথির কারণে পায়ের ক্ষতি, যার ফলে আলসার বা সংক্রমণ হয়। এসব ক্ষতির কারনে আক্রান্ত স্থান যেমন পায়ের আঙ্গুল, পা বা পা কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে।
কিডনির ক্ষতি যা শেষ পর্যায়ে রেনাল রোগের দিকে ধাবিত হয়। ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। চোখের রেটিনার ক্ষতি বা রেটিনোপ্যাথি যা অন্ধত্ব বা চোখের অন্যান্য অবস্থার কারণ হতে পারে। যেমন ছানি এবং গ্লুকোমা। কানে কম শোনার অস্বস্তি তৈরি করবে। তাই ডায়াবেটিস রোগীকে প্রশ্ন করাই যায়, আপনি কি ফিট ?
আজীবন ডায়াবেটিস মুক্ত থাকুন একদম ন্যাচারাল উপায়ে।
আপনি কি ফিট উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়েছে, ডাক্তার বলেছে আজীবন ঔষধ খেতে হবে। ঔষধ না খেলে যা হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদযন্ত্রের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে দুর্বল হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করতে না পেরে ব্যক্তির হৃতপিণ্ড কাজ বন্ধ করতে পারে বা হার্ট ফেল করতে পারে। এছাড়া, এমন সময় রক্তনালীর দেয়াল সঙ্কুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও থাকে।
ইদানিং তরুন বয়সীদেরও স্ট্রোক আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কিডনি সমস্যা ব্যাপক আকার ধারন করেছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মস্তিষ্কে স্ট্রোক বা রক্তক্ষরণও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। আর বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়ে একজন মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।
অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন উচ্চ রক্তচাপের কারন। শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহন এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রম না দুটো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, অনেক সময়ই উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষ্মণ দেখা যায় না। লক্ষ্মণ না থাকলেও দেখা যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে এবং রোগী হয়তো বুঝতেই পারেন না যে তার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। অতএব হেলদি লাইফ স্টাইলের কোন বিকল্প নাই।
প্রত্যেক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। জেনে শুনেও প্রতিদিন ঔষধ খাচ্ছেন। কারন আপনি চিন্তায় আছেন আপনি কি ফিট ? ফিট না থাকলে এই জীবনের মানে কি !! আপনি কি ফিট ? এই প্রশ্ন কেউ করবে না , যদি হেলদি লাইফ স্টাইল অনুসরণ করেন। শুধু ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপ নয়। এরকরম আরও অনেক গুলো রোগ আছে, যে কারনে আমাদের নিয়মিত ঔষধ খেতে হয়। ঔষধ খেয়ে সাময়িক সমাধান আসে, কিন্ত কখনো ফিটনেস আসে না।
লিভার সিরোসিস রোগী বেড়ে যাচ্ছে, পরিত্রাণের উপায় কি ?
আপনি কি ফিট
ফিটনেসে পাঁচটি বিষয় খেয়াল করুন।
১। ক্ষুধা পেলে আপনার কেমন লাগে ? অবস্থা এমন হয়, আপনাকে খেতেই হবে, না খেলে চোখে অন্ধকার দেখেন, হাত পা কাঁপে, মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার অবস্থা হয়।
২। হঠাৎ একদিন রাত জাগলে কি পরের দিন খুবই অস্বস্তি লাগে, পরে পরে ঘুমাতে হয়।
৩। একটানা কাজ করতে পারেন না, ক্লান্তি লাগে। কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়।
৪। প্রায়ই ঘুম ঘুম ভাব বা ক্লান্তি অনুভব করলে আপনি আনফিট। এর প্রধান কারন অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।
৫। কারও কারও মাঝে মাঝেই সর্দি, কাশি, জ্বর হয়। পেটের অসুখে ভুগেন বারো মাস।
এই পাঁচটি বৈশিষ্ট যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি শারীরিক ভাবে ফিট নন।
সুস্থ থাকতে, ফিট থাকতে ডাঃ স্টেন একবারগ কি বলেন।
আপনি কি ফিট প্রশ্ন নয় শুরু করুন
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থ্যা বলছে প্রতিবছর ৩২ লাখ মানুষ মারা যায়, শুধুমাত্র শারীরিক পরিশ্রম না করার কারনে। এই তথ্যটি কোন সুখবর নয়। ইদানিং ভ্যান বা রিকশাওয়ালারাও শারীরিক যন্ত্রচালিত বাহনে মানুষ বা মালামাল বহন করেন। ফলাফল ভুঁড়িওয়ালা ভ্যান রিক্সা ওয়ালা ইদানিং চোখে পরছে। আর আমরা যারা চেয়ারে বসে কাজ করি তারা শরীরকে নড়াতেই চাই না। ফলাফল আনফিট শরীর আর রাজ্যের অসুখ।
ফিট থাকতে প্রথমে এভাবে শুরু করুন। আজ থেকে হাঁটবেন। আপনার বাইক বা গাড়িটা বিক্রি করতে বলছি না। আপনার কর্মস্থলে যাতায়াতের পথ যদি ১০/১৫ মিনিটের হয়, তাহলে হেঁটেই যান। একমাস এটা করুন। এরপর সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যখনই সময় পাবেন, ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম এবং জগিং শুরু করুন। ছয়মাস পর আপনি জিমে ভর্তি হবেন। পাশাপাশি হেলদি লাইফ স্টাইলের যে লিঙ্ক টা দিয়েছি, সেটা অনুসরণ করুন। আজীবন ফিটনেস ধরে রাখতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ
জেনে নিন – সবজি কেন খাবেন ? সবজি রান্নার দারুন একটি রেসিপি।
আপনি কি ফিট ? ফিট থাকতে ফাস্টিং
২২ ঘণ্টা ওয়াটার ফাস্টিং শেষে আমার ব্রেক ফাস্ট এবং ডিনার একসাথে। সারাদিনে মাত্র একবার খাবার গ্রহণ। সালাদ ( আখরোট, কুমড়োর বিচি, শসা, টমেটো, ভিনেগার, অলিভ ওয়েল, পিংক সল্ট, পেয়াজ, কাচামরিচ )/ লাল চালের ভাত/গরুর মাংস/হাসের ডিম/সবুজ শাক।
সেলিম হোসেন – তাং ২১/০৬/২০২৩ ইং – কিছু ছবি পেক্সেল থেকে নেয়া।
Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.