অফিস কর্মীদের দৌড় – চায়না টেকনিক। অফিস হাজিরার একটি গল্প। 1 office attendance story

অফিস
অফিস কর্মীদের দৌড় 

যত দৌড়াবেন, ততই অর্থযোগ হবে আপনার পকেটে! শুনতে অবাক লাগছে? চীনের একটি প্রতিষ্ঠান কিন্তু এমনই এক কৌশল হাতে নিয়েছে। কর্মীদের দৌড়ানোর ভিত্তিতে প্রতি মাসে বোনাস দিচ্ছে তারা। এতে কর্মীদের আর্থিক প্রয়োজন যেমন মিটছে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যও থাকছে ভালো।

চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘দ্য ডংপো পেপার কোম্পানি’। এত দিন কাজের ভিত্তিতে কর্মীদের বছর শেষে বোনাস দিত প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি তা বদলে দৌড় বা শারীরিক কসরতের ভিত্তিতে মাসিক বোনাসের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। 

অফিস

পড়ুন – শরীরের অতিরিক্ত ওজন কিভাবে ঝেড়ে ফেলবেন। 

অফিস কর্মীদের প্রতিযোগিতা  

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কর্মী মাসে ৫০ কিলোমিটার দৌড়ালে তিনি পুরো বোনাস পাবেন। ৪০ কিলোমিটার দৌড়ালে পাবেন বোনাসের ৬০ শতাংশ। আর ৩০ কিলোমিটার দৌড়ালে পাবেন ৩০ শতাংশ। তবে কেউ যদি ১০০ কিলোমিটার দৌড়ান, তিনি অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ বোনাস পাবেন।  

দৌড়ের পাশাপাশি পাহাড়ে চড়া বা দ্রুত হাঁটাকেও শারীরিক কসরত হিসেবে ধরা হবে। কেউ পাহাড়ে চড়লে প্রতি মাসের মোট কসরতের ৬০ শতাংশ পূর্ণ করেছেন বলে ধরা হবে। আর দ্রুত হাঁটলে ধরা হবে ৩০ শতাংশ। কর্মীরা কতটা দৌড়েছেন বা হেঁটেছেন, তা নির্ধারণ করা হবে তাঁদের মুঠোফোনের অ্যাপের মাধ্যমে।

বিষয়টি নিয়ে ডংপো পেপার কোম্পানির প্রধান লিন ঝিয়ং বলেন, তিনি এই কৌশল নিয়েছেন; কারণ, একটি প্রতিষ্ঠান তখনই টেকসই হয়, যখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা সুস্থ থাকেন। তিনি নিজেও একজন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ। এরই মধ্যে দুবার তিনি এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন।

বোনাসের নতুন পদ্ধতি নিয়ে বেশ খুশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। এমনই একজন বলেন, ‘এটা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো। আমরা এ থেকে অর্থও পাচ্ছি, আবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে।’

পড়ুন – চীনে কেন জিমেইল কেন ব্যাবহার করা হয় না। 

অফিস

অফিস কর্মীদের হাজিরা   

একটি গল্প বলি শুনুন। গল্প টি একটু পেছনের সময়ের। বর্তমানে অফিস হাজিরা সংরক্ষণে ডিজিটাল ব্যবস্থা আছে। কিন্ত ৩০ বছর আগে এমন টা ছিল না। গল্প টা সে সময়ের। তখন হাজিরা খাতা ছিল, সেখানে কর্মীরা হাজিরার সাইন করতেন।                                                                                                                                                         

এরকম একটি অফিসে, নিয়ম ছিল কেউ দেরি করে এলে সাইনের সাথে দেরির কারন উল্লেখ করতে হত। বর্ষাকাল কাল, বৃষ্টির মৌসুম। বৃষ্টি নামলেই যানজট লেগে যেত। ফলে অনেকেই আসতে দেরি করে ফেলতেন। তো যিনি প্রথম দেরি করলেন, তিনি হয়ত কারন হিসেবে লিখলেন ” বৃষ্টি “। ট্রাফিক জ্যাম অথবা বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। এরপরে যারা ঢুকতেন তারা প্রথম জনের নিচে কারন দর্শানোর ঘরে লিখতেন ” ঐ “। পরে যারা আসতেন তারা সময় নষ্ট করতে চাইতেন না ! একই সংকেত ব্যবহার করে সংক্ষেপে কাজটা সেরে ফেলতেন। 

পড়ুন – মানুষ কেন চুলকায়, চুলকালে কি হয় ? 

অফিস

একদিন বৃষ্টি বা ট্রাফিক জ্যাম ছিল না। এক অফিস কর্মীর বউয়ের ডেলিভারি ছিল। তো অফিসে আসতে ভদ্রলোক একটু দেরি করে ফেললেন। তরিঘরি করে অফিসে ঢুকলেন। রেজিস্টার খাতায় দেরির ঘরে লিখলেন ” বউয়ের ডেলিভারি “। এরপরে যারা অফিসে ঢুকলেন তারাও প্রথম জনকে অনুসরন করলেন। দেরির ঘরে লিখলেন ” ঐ “। 

পরদিন দেখা গেল মোট ১৯ জন দেরির ঘরে ” ঐ ” সংকেত টি ব্যাবহার করেছেন।  

সেলিম হোসেন – ১৮/১২/২০২৩ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *