অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানে মানসিক অস্থিরতা, চাপের পাহাড়। 7 strategies to stop excessive worry

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে কি হয়

একজনের জন্য ইঞ্চি খানেক আদা। ছোট ছোট করে কাটা। এরপর ছেঁচে নিয়ে বড় এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ছেড়ে দেয়া। আদার রস ধীরে ধীরে পানিতে মিশে কিছুটা ঘোলাটে দেখাচ্ছে। নিজের গ্লাসে চুমুক দিয়ে বন্ধু বেলালের দিকে তাকাল জাহিদ ইসলাম। খেতে কেমন লাগছে ?

ভালই তো, চুমুক দিয়ে স্বাদের কথা বলল, বেলাল আহমেদ বলল।

এটা ডিটক্স ওয়াটার। শরীরের জন্য বেশ উপকারি। বিশেষ করে ফাস্টিং চলাকালে এটা খেতেই হয়। আজকে খাচ্ছি অন্য কারনে। দুদিন ধরে ঘারের পিছন টায় বেশ ব্যাথা হচ্ছে। কোন কারন খুজে পাচ্ছি না। ব্যায়াম করছি, স্পেশালি ঘারের ব্যায়াম করছি, কিন্ত ব্যাথা কমছে না।

ব্যবসার লাইসেন্স, গাড়ির লাইসেন্স সব কিছুর উপর অসম্ভব হারে ভ্যাট ট্যাক্স বেড়েছে। অফিস ভাড়া বেড়েছে। গত বছর থেকে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে ৫০ ভাগ। কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে। কিন্ত ব্যবসা কমে গেছে ৫০ ভাগ। আগামী দিন গুলোতে কি ব্যবসা টিকে থাকবে ? আমরা কি আমাদের লাইফস্টাইল ধরে রাখতে পারব ? কথা গুলো বলে, জাহিদ থামল

বেলাল বলল, সমস্যা টা সম্ভবত এখানেই হয়েছে। তুই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করছিস। তা নাহলে তোর মত হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে চলা মানুষের ঘার ব্যাথা হওয়ার কথা নয়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আরও সমস্যা তৈরি করে। সে গুলো নিয়ে বলি, মনোযোগ দিয়ে শোন।

ওজন কমাতে বুলেট কফি যেভাবে তৈরি করবেন 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

মানসিক প্রভাব

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারনে তুই উদ্বেগে আছিস। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ায় আতংক বেড়েছে। তোর নিজের কাজকর্মের প্রতি একাগ্রতা এবং মনোযোগ কমে গেছে। একারনে হয়ত ক্লায়েন্টদের কথা শুনতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে রাতে ঘুমের সমস্যা হবে। বার বার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি দুশ্চিন্তা আমাদের সমস্যা তৈরি করে। কোন কিছুই আর মুল্যবান মনে হয় না। দুনিয়াটাকে শূন্য শূন্য মনে হয়।

শারীরিক প্রভাব

হার্ট রেট বেড়ে গিয়ে বুক ধরফর করতে পারে। ব্লাড প্রেশার বাড়াটা এক্ষেত্রে খুব সাভাবিক। হয়ত একারনে তোর ঘাড়ের ব্যাথা হয়েছে। ঘটনা হল, যে দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত সে বুঝতে পারে না। কেন বার বার টয়লেটে যেতে হচ্ছে ? পেটে এত গ্যাস যে, লোক জনের মাঝেই সশব্দে পায়ু পথ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে বাতাস। ভাতও ঠিক মত হজম হচ্ছে না। এসবের কারন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।

ঘাড় বা পিঠে ব্যথা অনুভব হতে পারে। মাথা ভারী ভারী লাগতে পারে। ঘন ঘন সর্দি লাগতে পারে।  সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।

আচরণগত প্রভাব

কারন বা অকারনে খুব বেশি রাগ হয়। মেজাজ ঠিক থাকনা। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারনে এমন টা হয়। বেড়াতে যেতে বা অসুস্থ আত্মীয় কে দেখতে যেতে মন চায় না। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব এড়িয়ে চলতে মন চায়। মনের মাঝে চলতে থাকে অসম্ভব সব রঙিন কল্পনা। যেই কল্পনার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। দুশ্চিন্তার কারনে এসব হয়।

জীবনে সুখী হওয়ার মুলমন্ত্র গুলো জেনে নিন 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কেন হয় 

আবেগজনিত কারন 

নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই অনিরাপদ বোধ করেন। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে অতিরিক্ত ভাবেন। নিজের কর্মক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস কম থাকলে, নিজ সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ থাকলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয়।

আবার অনেকেই আছেন, সব কিছুতেই নেতিবাচক কিছু খুজে বেড়ান। ভালো কিছু ভাবতেই পারেন না, তাদের ক্ষেত্রেও চিন্তার সমস্যা দেখা দেয়।

 জেনেটিক ও বায়োলজিক্যাল কারণ

পারিবারিক ইতিহাস। পরিবারে যদি কেউ উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাহলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা যেমন serotonin, dopamine হরমোনের ঘাটতির কারনে সমস্যা হতে পারে।

পারিপার্শ্বিক ও লাইফস্টাইলের কারণ

আমাদের মধ্যে যারা বেসরকারি চাকরি যারা করেন তারা সমস্যা টাতে ভুগেন। এছাড়া আর্থিক সমস্যা, সম্পর্কের টানাপোড়েন বড় দুশ্চিন্তার কারন। দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে।

নেতিবাচক অভিজ্ঞতা। যেমন অতীতে বড় কোনো ব্যর্থতা, দুর্ঘটনা বা ট্রমা কারও জীবনে থাকলে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

ঔষধ ছাড়াই যেভাবে আজীবন সুস্থ থাকবেন 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

আধুনিক জীবনের প্রভাব

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর স্মার্ট ফোনের বিভিন্ন এ্যাপ দুশ্চিন্তা বাড়ার কারন। সামান্য বিষয় থেকে এমন টা হতে পারে। যেমন, প্রতিদ্বন্দ্বী কারও ছবি বা পোস্টে কিছু লাইক বা ভালো কমেন্ট দেখলেও দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। জীবনে পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম বা মানসিক অবসর না থাকলে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।

চিন্তা করা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যদি প্রতিনিয়ত মনের শান্তি ও কাজের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, তাহলে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং চিন্তাভাবনার মধ্যে পার্থক্য আছে। চিন্তাভাবনা হলো মানসিক শক্তির রূপ। যা মূল্যবান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। আমাদের দৈনন্দিন এবং জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এগুলি আমাদের সমস্ত সৃজনশীল সম্ভাবনার উৎস।

কিন্ত অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর।

নাদির শাহ্‌ কিভাবে ভারত জয় করলেন, সফল হতে জানতে হবে 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

চিন্তা ভাবনা কি 

  • বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা।
  • একাধিক সম্ভাবনা বিবেচনা করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়কাল দীর্ঘায়িত করা।
  • সম্ভাব্য ফলাফলের উপর অতি-মনোযোগী হওয়া।
  • কোনও সমাধান না পেয়ে প্রায়শই একই চিন্তাভাবনা পুনর্বিবেচনা করা।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার লক্ষণ

কোনটা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা (Excessive anxiety), কিভাবে বুঝব। এর কিছু সাধারণ লক্ষণ গুলো বলছি শোন। বেলাল বলল

মানসিক লক্ষণ 

   ১. চিন্তা থামাতে না পারা – সবসময় খারাপ কিছু ঘটবে মনে হওয়া।

   ২. মনোযোগে সমস্যা – কাজ বা পড়ায় মন না বসা।

   ৩. অস্থিরতা বা বিরক্তি – ছোট বিষয়েও রেগে যাওয়া বা অস্থির বোধ করা।

   ৪. অতিরিক্ত ভয় বা আশঙ্কা – ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সবসময় নেতিবাচক ভাবা, যেমন টা তুই এখন ভাবছিস।

   ৫. ঘুমের সমস্যা – ঘুম না আসা বা মাঝরাতে উঠে যাওয়া।

যে খাবার গুলো ত্বককে উজ্জ্বল ফর্সা করে

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

শারীরিক লক্ষণ 

   ১. হৃদস্পন্দন – বেড়ে গিয়ে বুক ধরফর করতে পারে।

   ২. ঘাম হওয়া – তুলনামুলক বেশি ঘাম হতে পারে। হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসতে পারে।

   ৩. পেটের সমস্যা – খাওয়ার পর পেট ফুলে যেতে পারে, পেটে গ্যাস হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে বমির ভাব হয়।

   ৪. মাংসপেশিতে টান – হঠাৎ করে হাঁটতে গিয়ে, শুয়ে বা বসে থাকলেও মাংস পেশিতে টান লাগতে পারে।

   ৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা – কাজের শক্তি কমে যাওয়া।

আচরণগত লক্ষণ 

   ১. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা – মানুষের সঙ্গে মিশতে না চাওয়া।

   ২. প্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত সাবধানতা – যে কোনো ঘটনা খুব বড় করে ভাবা।

   ৩. নির্ভরতা বৃদ্ধি পাওয়া – সিদ্ধান্ত নিতে অন্যের ওপর নির্ভর করা।

এই লক্ষণগুলো যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তা প্রতিদিনের জীবনে প্রভাব ফেলে। কারও অবস্থা এমন হলে, একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

অফিস কর্মীদের হাজিরা নিয়ে মজার কাহিনী 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার সম্ভাব্য ক্ষতি 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের কোন উপকার করে না। বরং নানান রকম ক্ষতি করে থাকে।

  • আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
  • অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে।
  • উদ্বেগের কারণ হয়।
  • আমাদের আত্মসম্মান কমে যায়।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর করার ৭ টি উপায়

১. সচেতনতা

যখনি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয়, থামতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে কেন আমি এই চিন্তা করছি। এতে লাভ কি ? আসলে দুশ্চিন্তায় কোন লাভ নেই, আগেই বলেছি। মুলত সচেতন থাকতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেহেতু তোর ব্যবসা কমে গেছে, সেহেতু খরচ কমাতে হবে। বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে কোন কোন খাতে খরচ কমানো যায়।

সচেতনতা প্রতিদিনের বিষয়। এটাকে অভ্যাসে পরিনত করলে, সবচেয়ে ভালো কাজ হয়। তখন পরিস্থিতির যৌক্তিকতা অনুধাবন করা যায়। দুশ্চিন্তা আসে না।

স্ট্রেস দূর করতে যা যা করবেন 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
২. তুচ্ছ বিষয় তুচ্ছই থাক 

প্রায়ই আমরা এমন তুচ্ছ বিষয়ে জড়িয়ে পড়ি। যা আমাদের জীবনে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না। যেমন রাস্তাঘাটে, দোকানে, বাজারে নানান মানুষ আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। তাদের আচরন, কথাবার্তা এড়িয়ে যাওয়া উত্তম। তা না হলে অযথাই একটি দুশ্চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়।

তেমনি অফিসে, বাসায় তুচ্ছ বিষয় যত এড়িয়ে যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। এসব তুচ্ছ বিষয় ধরলে কাজের তেমন উন্নতি হয় না। আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায় না। উলটো শারীরিক মানসিক অস্থিরতা আসে।

৩. অন্যের উপকার করা 

আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল, আমরা অতিরিক্ত আত্মমগ্ন হয়ে পড়ি। আত্মকেন্দ্রিক হওয়া আমাদের স্বভাব হয়ে যায়। আমিত্ব আমাদের পেয়ে বসে। একারনে অন্যের কোন বিষয় নিয়ে ভাবি না।

যেমন অফিসের কোন কর্মী, কাজে ভুল করল ? কেন করল, সেটা আমরা ভাবি না। তাকে বকাবকি করি। এতে নিজের মন বিষাক্ত হয়। কর্মীর মনও খারাপ হয়। কিন্ত খোঁজ নিলে দেখা যাবে, কর্মী হয়ত আজকে একটা পারিবারিক সমস্যায় আছে।

নানান গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে, অন্যের সমস্যা সমাধান করলে নিজের মনে আনন্দ হয়। ফলাফল দুশ্চিন্তা কমে যায়। দান সদকার ব্যাপারে কোরান হাদিসে অনেক নির্দেশনা আছে। দান করলে নিজের মনে অন্যরকম তৃপ্তি আসে।

নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী বাবা, মা ভাই বোন, বন্ধু বান্ধব বাপ্রতিবেশী, যার যতটুকু উপকার করা যায়, তা করতে হবে। এতেকরে নিজের মন একেবারে প্রফুল্ল হয়ে উঠবে। এই প্রফুল্লতা কেই আলেমগন আল্লাহর রহমত বলেন।

দুর্বল স্মৃতি সক্তি সতেজ করার উপায় জেনে নিন 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

৪. বর্তমানের সাথে থাকা 

আমাদের মনে রাখতে হবে, অতীত আর কখনো ফিরবে না। অতীতকে ফেরানোর চেষ্টা আর জীবিত ভেবে, মরা মানুষকে কবর থেকে টেনে তোলা একই। আমরা বর্তমান নিয়েই সুখী থাকতে পারি। উদ্বেগ মুক্ত থাকতে পারি।

এজন্য আমারা ৪-৭-৮ শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারি। ১০ মিনিট বা ২০ মিনিট। ইউটিউব সার্চ দিলেই ব্যায়াম সেসন চলে আসবে। এটা অফিসে চেয়ারে বসে করা যায়। বাসায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সময় অপচয় হয়, সে সময়েই এটা করা যায়।

৫. আঁকড়ে ধরা যাবে না 

কোন কাজ বা ঘটনা সবসময় আমাদের পছন্দমত হবে, এমন টা নয়। যদি কোন কিছু আমাদের পছন্দ না হয় বা প্রয়োজন পুরন না করে, তা ছেড়ে দিতে হবে। যেমন টেবিলে খাবার আসল। আমরা খেতে বসলাম। কিছু খাবার হয়ত বেঁচে যাবে। নষ্ট হওয়ার ভয়ে আমরা অতিরিক্ত খেলাম। এতে করে শরীর খারাপ হবে।

ছেড়ে দেওয়া জীবনের একটা শিক্ষা। গিলে ফেলা সত্যিই কঠিন। যত তাড়াতাড়ি আমারা এটা বুঝতে পারব, সুখের সম্ভাবনা তত বেশি। আমরা অধিনস্তদের নিয়ন্ত্রন করতে চাই। যদি সুখী হতে চাই, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে নিয়ন্ত্রণ একটি মায়া। আর যদি আমরা এই ধারণায় আঁকড়ে থাকি যে, আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে আমাদের দুর্দশা বাড়বে।  

যে কারনে মানুষ আত্মহত্যা করে 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

৬. কখনো কখনো পিছিয়ে আসা 

কখনও কখনও, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার গতি প্রবল এবং অপ্রতিরোধ্য হতে পারে। বিশেষ করে যখন প্রচণ্ড রাগ হয়, হতাশা আসে। যখন সবকিছু এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে, তখন এক ধাপ পিছিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ । রাগ নিয়ন্ত্রন করা দরকার।

একটু বিরতি নেয়া দরকার। এই বিরতি মস্তিষ্ককে মানসিক বিশ্রাম দেয়। আবেগ নিয়ন্ত্রন করা যায়। তখন সঠিক চিন্তাটা করা যায়। সমস্যা সমাধান সহজ হয়।

৭. জামাতে নামাজ আদায় এবং ধ্যান 

সুস্থ শরীরের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি মানসিক শান্তির জন্য স্পিরিচুয়ালিটি বা প্রার্থনাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন মসজিদ থেকে আমাদের কে নামাজের জন্য ৫ বার ডাকা হয়। জামাতে নামাজ আদায় করলে ভিন্ন এক অনুভূতি আসে। যা দুশ্চিন্তা দূর করে। মন ভালো থাকে। বিশেষ করে ফজরের নামাজ জামাতে আদায়, মন ভালো করতে সবচেয়ে ভালো কাজে দেয়।

দুশ্চিন্তা নিয়ে একটি রিসার্চ পেপার পড়ুন 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বন্ধের ৭ টি কৌশল

অনেকেই ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। এটাও দুশ্চিন্তা দূর করতে ভালো কাজে দেয়।

বেলাল থামল।

বাইরে আষাঢ়ের বৃষ্টি ঝরছে। আজকের সন্ধ্যায় শহরের এক ভিন্ন রুপ। দুই বন্ধু গল্প শেষে একসাথে বেরিয়ে পরল।

সেলিম হোসেন – ১১/০৭/২০২৫ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *