বার বার প্রস্রাব হলে কি করব। দিন-রাত বিরক্তি, ৮ টি কারন এবং প্রতিকার। 8 reasons for frequent urination at night – the bane of good sleep.

বার বার প্রস্রাব হলে

বার বার প্রস্রাব হলে কি করব 

ভালো ঘুমের সর্বনাশ।
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব এর চাপ। বিছানা ছেড়ে উঠলে মেজাজ বিগড়ে যায়, খুব অসহায় লাগে। ঘুম ভালো হয় না। রাতে বার বার ঘুম থেকে উঠে মূত্রত্যাগের এ রোগের নাম নকটারিয়া। নকটারিয়ার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, রাতে ঘুম ভেঙে অন্তত দুই বার প্রস্রাব করার জন্য যদি কাউকে উঠতে হয়, তাহলে তিনি এ রোগে আক্রান্ত।

বার বার প্রস্রাব হলে কি মনে করব 

একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রস্রাব করেন দিনে ৬ থেকে ৮ বার। তবে এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্নতা থাকতে পারে। বেশি পরিমান পানি পান করলে প্রস্রাব বেশি হতে পারে। আবার তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমান খেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। বিশেষ কফি বা চা পান। আকাশে মেঘ বৃষ্টির ভাব থাকলে প্রস্রাব বেশি হয়।
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব

বার বার প্রস্রাব হলে কোন টেস্ট করাব 

এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। তিনি ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ নির্ধারণের জন্য, শারীরিক পরীক্ষা করবেন। নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি করার নির্দেশনা দিতে পারেন।

  ১. প্রস্রাব পরীক্ষা (মূত্র বিশ্লেষণ) – সংক্রমণ, রক্ত, গ্লুকোজ বা অন্যান্য অস্বাভাবিকতার লক্ষণগুলির জন্য একটি প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

 ২. রক্ত পরীক্ষা – ডায়াবেটিস, কিডনির কার্যকারিতা, অথবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা পরীক্ষা করার জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. আল্ট্রাসাউন্ড – ইমেজিং পরীক্ষাগুলি কিডনি, মূত্রাশয় এবং প্রোস্টেটের কাঠামোগত অস্বাভাবিকতা মূল্যায়ন করতে সাহায্য করতে পারে।

 ৪. সিস্টোস্কোপি – একটি পদ্ধতি যেখানে প্রদাহ, পাথর বা টিউমার পরীক্ষা করার জন্য মূত্রাশয়ে ক্যামেরা সহ একটি পাতলা নল ঢোকানো হয়।

বয়স্ক মানুষেরা এ সমস্যায় বেশি ভুগেন। এক হিসাব অনুযায়ী ৭০+ বয়সের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনই এই সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া আবহাওয়া এবং সামাজিক অবস্থান কারন হতে পারে। গর্ভবতী নারীরাও এই সমস্যায় পড়েন অনেক সময়ই। তবে কম বয়সীরাও এতে আক্রান্ত হতে পারেন।  

জেনে নিন – রাতে ঘুম কেন আসতে চায় না।

বার বার প্রস্রাব হলে কি করব
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব

বার বার প্রস্রাবের কারন 

সাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে এর প্রধান কারন শরীরে অধিক মাত্রায় ইনসুলিন রিলিজ হওয়া।
এড্রিনাল হরমোন আমাদের প্রস্রাব আটকে রাখতে সহায়তা করে। যদি শরীরে ইনসুলিন বেশি নিঃসৃত হয় তাহলে এড্রিনাল হরমোন বাধাগ্রস্ত হয়, প্রস্রাব ঘন ঘন হয়।
১. ডায়াবেটিস রোগীরা এ বিষয়ে বেশ কষ্ট পান কারন তাদের রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিন বেশি থাকে।
আরও যে কারনে প্রস্রাব ঘন ঘন হতে পারে
২. শরীর খুব ক্লান্ত থাকলে এমন টা হতে পারে।
৩. কেক বিস্কুট চানাচুর মিষ্টি কোল্ড ড্রিংকস এ জাতীয় খাবার খেয়ে বিছানায় গেলে।
৪. অনেক মানসিক চাপ নিয়ে বিছানায় গেলে তখন শরীরে করটিসল নিঃসৃত হয় তখন এমন টা হতে পারে।
৫. ঘুমানোর আগে বেশি পানি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
৬. প্রোস্টেট সমস্যা থাকলে এমন টা হতে পারে। যেমন Benign Prostatic Hyperplasia (BPH), যা মূত্রথলিতে চাপ ফেলে।
৭. মুত্রথলি বেশি সক্রিয় হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
৮. যেসব ঔষধ শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। যেমন – ডায়াবেটিকের ঔষধ, উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ।
এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব কি খাব

ক্র্যানবেরি জুস – ক্র্যানবেরি জুস মূত্রাশয়ের সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রাশয়ের দেয়াল থেকে আটকাতে সাহায্য করে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কমাতে সহায়ক।

তুলসী পাতা – তুলসী পাতা বিভিন্ন ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। কয়েকটি তুলসী পাতা গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে মধু দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। 
জিরা পানি – জিরা জলে ফুটিয়ে খেলে তা ঘন ঘন প্রস্রাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। 
আমলা – আমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন কমাতে পারে। 
তরমুজ – তরমুজও মূত্রথলির জন্য উপকারী হতে পারে।
পেঁপে – পেঁপেতে থাকা এনজাইম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে। 
রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করুন, এরপর আর কোন কিছুই খাবেন না।
প্রতিদিন হেলদি ন্যাচারাল খাবার গুলো খান, যেখানে শর্করা থাকবে পরিমানে খুবই কম। অর্থাৎ আমাদের নির্দেশিত খাবার গুলোই খান।
প্রতিদিন দুই মিল খাবার খান, একটা বড় সময় ফাস্টিং করুন।
আশাকরি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব
বার বার প্রস্রাব হলে কি করব

সেলিম হোসেন – ২৬/০১/২০২৪ ইং

Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *