ওজন কমানোর উপায় ১০ টি সহজ নিয়ম – Weight loss journey 10 Easy way

ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় ১০ টি সহজ নিয়ম

ওজন কমাতে প্রথমে ফ্যাট এডাপটেশন – জার্নি (এক) প্রথম মাসে কমবে ১০ কেজি। ওজন কমাতে জার্নি টাকে নিরাপদ করতে ফ্যাট এডাপটেশন আবশ্যক। শুরু করুন ওজন কমানোর জার্নি । প্রথম ৭ দিন ফ্যাট এডাপটেশন। এরপর শুরু হবে মুল জার্নি।

নানান রকম দ্বিধা হয়ত আপনার মনে কাজ করছে। ঝেড়ে ফেলুন দ্বিধা। পুরো জার্নিটা সাস্থ্য সম্মত, বিজ্ঞান ভিত্তিক। আর আমি নিজেই এভাবে ওজন কমিয়েছি। এখন আছি হেলদি লাইফ স্টাইলে। ওজন কমানো সহজ কাজ। প্রয়োজন আপনার ইচ্ছা শক্তি। বাকি যে উপকরন গুলো আপনার লাগবে, তা আপনি হাতের কাছেই পাবেন। তাহলে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করুন। এডাপটেশনে যা খাবেন, যা করবেন।

ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

১. ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ আপনি ৩ বার মেইন ডিস খাবেন, ৭ দিন পর চেষ্টা করবেন খাবারের সংখ্যাকে ২ বারে নামিয়ে আনতে।

২. আপনার খাবারে থাকবে ঃ ৭০% হেলদি ফ্যাট, ২০% প্রোটিন এবং ১০% শর্করা। অর্থাৎ এক প্লেট খাবার ভর্তি থাকবে শাক অথবা সব্জিতে। দুটো ডিম ঘিয়ে পোঁচ করে নিবেন, কুসুম কাঁচা থাকবে। একটুকরো মাংস অথবা মাছ নিবেন। তাহলে পারসেনটেজ ঠিক থাকবে, একটি পূর্ণ মিল খাবার হবে।
৩. প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৬ টা ডিম খেতে পারবেন। মাখন খাবেন, ঘি খাবেন, সালাদ খাবেন, প্রচুর শাকসবজি খাবেন, হিমালয়ান পিংক সল্ট, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, অর্গানিক কোকোনাট অয়েল, মাছ মাংস, মাছের ডিম এগুলো খাবেন।
নারিকেল তেল বা খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে রান্না করতে পারেন। সয়াবিন অথবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল চিরতরে বাদ।
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়
৪. প্রতিদিন শরীরের সহনীয় মাত্রায় ব্যায়াম করবেন।
৫. রাত ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠবেন।
৬. বাদাম খুবই পুষ্টিকর খাবার সব ধরনের বাদাম খেতে পারেন।
৭. আপাতত কোন প্রকার মিষ্টি ফল খাবেন না। টক জাতীয় ফল অল্প পরিমান খেতে পারেন।
৮. কোন খাবার কখন খাবেন আপনার নিজের পছন্দ মত সাজিয়ে নিন।
৯. প্রতিবার খাবার গ্রহণের পূর্বে আপেল সিডার ভিনেগার এক চামচ এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে খাবেন। ঠাণ্ডা পানিতেও খেতে পারেন।
১০. এভাবে ৭ দিন চলুন। ক্ষুধা কমে গেলে রোজা রাখুন অথবা ফাস্টিং শুরু করুন।
     অষ্টম দিন থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ।
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় এই খাবার গুলো না খাওয়া 

কেক, মিষ্টি, শিঙারা, পুরি, বার্গার, পিজা, চিনিযুক্ত ( চা, কফি ), যে কোন ধরনের কোমল পানীয়, চিপস, বিস্কুট, দোকানে পাওয়া যে কোন প্রসেসড ফুড।
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়
আশাকরি বিষয় টা সহজ হয়েছে, ফ্যাট এডাপটেশন দিয়ে শুরু করা যায় – তাহলেই প্রথম মাসে কমবে ১০ কেজি। নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিন। ফ্যাট এডাপটেশন করুন – প্রথম মাসেই ১০ কেজি ওজন কমান।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড একটি সুপার ফুড। ওজন কমাতে সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। চিয়া সিডের সাথে ভিনেগার, লেবুর রস, ইসবগুলের ভুসি মিশানো যেতে পারে। চিয়া সিড প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমান খেতে পারেন।

ওজন কমাতে গ্রিন টি যেভাবে খাবেন 

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে গ্রিন টির ভূমিকা রয়েছে। তবে শুধু গ্রিন টি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব না। যারা ওজন কমানোর জন্য আমাদের জার্নি অনুসরণ করবেন।  ফ্যাট এডাপটেশন করবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। তারা তাদের খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি রাখতে পারেন। এটি এক্ষেত্রে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন ২/৩ কাপ খেতে পারেন।

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই দিয়ে রায়তা বানিয়ে খেতে পারেন। টমেটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, জিরা গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ কুচি, চাট মসলা এবং বেশি করে টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিন রায়তা। ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই খাবার। হাল্কা ভেজে বাদামের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা খাবার শেষে এমনিতেই কয়েক চামচ খেতে পারেন।

ওজন কেন কমছেই না। জেনে নিন কারন। 

ওজন কমানোর উপায় ১
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়  হাঁটার নিয়ম 

হাঁটবেন সকালের দিকে। সন্ধ্যার পরে হাঁটবেন না। হাঁটার শুরুতে ১০ মিনিট ওয়ার্ম আপ করে নিবেন। হাঁটা শেষে ৫ মিনিট ওয়ার্ম আপ করবেন। হাঁটবেন দ্রুত গতিতে। কারও সাথে নয় একা একা হাঁটবেন। প্রতিদিন ৩০- ৪০ মিনিট হাঁটবেন।

ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

ইসবগুলের ভুসি খাবারের শেষে খাবেন। এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে একসাথে খেতে পারেন। ওজন কমানোর টার্গেটে না পৌঁছানো পর্যন্ত চিনি বা মধু মিশাবেন না।

ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালজিরার তেল খাবেন। যখন কোন মিল খাবেন। খাবারের ঠিক মাঝখানে ৪ মিলি কালোজিরা তেল খেয়ে নিবেন। প্রতিদিন একবার। এটা ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।

ওজন কমাতে ফ্যাট এডাপটেশন লেখাটি বুঝতে পেরেছেন কিনা কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। কোন কিছু জানতে চাইলে প্রশ্ন করুন আমরা উত্তর দিব।
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

ধরে নিলাম আপনার ফ্যাট এডাপটেশন হয়েছে । কারন ক্ষুধা কমে গিয়েছে। অতএব ফ্যাট এডাপটেশন ভালোভাবে হয়েছে।  যদি ক্ষুধা না কমে তাহলে বুঝবেন আপনি ভুল করেছেন।  ফ্যাট এডাপটেশন হয়নি। ক্ষুধা না কমলে ফ্যাট এডাপটেশন চালিয়ে যান। ফ্যাট এডাপটেশন হয়ে গেলে, এখন স্টেপ টা কি ? সেটাই বলছি। এখন আরেক গুরুত্বপূর্ণ  কাজ। শুরু করুন ফাস্টিং।

ফাস্টিং দুই ভাবে করতে পারেন। 

ড্রাই ফাস্টিং বা ওয়াটার ফাস্টিং
একটানা ১৬/১৭ ঘণ্টার ফাস্টিং করুন।
যদি ড্রাই ফাস্টিং করেন তাহলে ফাস্টিং চলাকালীন সময়ে আপনি কিছুই খাবেন না। অর্থাৎ ড্রাই ফাস্টিং এ ১৬/১৭ ঘণ্টা আপনি একদম না খেয়ে থাকবেন। ধরুন সন্ধ্যা ৭ টায় ডিনার করলেন এবং পরদিন দুপুর ১২ টায় ব্রেক ফাস্ট।

ঔষধ ছাড়াই আজীবন সুস্থ থাকবেন যেভাবে।

দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
আর ওয়াটার ফাস্টিং সময় কালীন যা করবেন
সারাদিনে ৭/৮ ঘণ্টার মধ্যে দু বার পূর্ণ মিল খেয়ে বাকি ১৬/১৭ ঘণ্টা সময় পানি বা পানি জাতীয় খাবার খাবেন।
যেমন ঃ  সকালে আপেল সিডার ভিনেগার + আদা রস + লেবু রস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন ।
তারপর গ্রিন টি খেতে পারেন।
পিংক সল্ট মিশানো পানি খাবেন দিনে কমপক্ষে এক গ্লাস।
রং চা চিনি ছাড়া খেতে পারেন ।
দুধ চিনি ছাড়া ব্লাক কফি খেতে পারেন।
এভাবে সারাদিনে পানি জাতীয় খাবার খাবেন।

দ্রুত ওজন কমাতে ডাঃ এরিক বারগ কি বলেন। 

দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

পূর্ণ মিল কখন খাবেন ? ধরুন দুপুর ১২ টায় ব্রেকফাস্ট এবং সন্ধ্যা ৭ ডিনার খেলেন।

ফাস্টিং শেষে মিল হিসেবে যা খাবেন।
ফ্যাট এডাপটেশন ওজন কমানোর জার্নি তে জরুরী
আপেল সিডার ভিনেগার + আদা রস + লেবু রস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।
বাদাম ৪০ গ্রাম ঘি দিয়ে হাল্কা করে ভেজে খাবেন ।
একবাটি রঙিন সালাদ খাওয়ার শুরুতেই।
ডিম ২ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
মাছ/ মাংস চর্বি সহ / কলিজা ১৫০ গ্রাম খাবেন। মাছ বা মাংস একসাথে খাবেন না।
প্রচুর শাক সবজি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন।
ডাবের পানি খেতে পারেন।
পরিমান মত পানি খাবেন।
এভাবে ফাস্টিং চালিয়ে যান যতদিন আপনার ওজন কমে কাঙ্খিত পর্যায়ে না আসে।
ওজন কমানোর জার্নি
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায় ওয়াটার ফাস্টিং 
ওয়াটার ফাস্টিং চলাকালীন সময়ে বুলেট কফি এবং ডাবের পানি খাবেন না।
ওয়াটার ফাস্টিং শেষ করে যখন খাবার খাবেন তখন ডাবের পানি এবং বুলেট কফি খেতে পারেন। কিন্তু রাত্রে ঘুমের সমস্যা থাকলে সন্ধ্যার পরে বুলেট কফি খাবেন না।
Health oxide keto supplement ক্যাপসুল প্রতিদিন ২ টা খাবেন।
মনে রাখবেন ফাস্টিং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।  ফাস্টিং শুধু ওজন কমাবে না শরীরকে সুস্থ করে তুলবে।
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
সেলিম হোসেন – ২৪/০১/২০২৪ ইং

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

0 thoughts on “ওজন কমানোর উপায় ১০ টি সহজ নিয়ম – Weight loss journey 10 Easy way

  1. Pingback: ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে, সুস্থও থাকবেন। 1. Diabetes will be cured. 2. Stay healthy. - OVIZAT

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *